চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশকালে চার বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। রোববার রাতে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রোকনপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
 
আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের মহবুল ইসলামের ছেলে মো.

মুকুল, মোশারফের ছেলে আলিস, ইশাহাকের ছেলে দুরুল হুদা ও মো. মতির ছেলে বাবু। 

বিএসএফের হাতে আটক মুকুলের শ্বশুর বলেন, মুকুলের বাড়ির পাশেই সীমান্ত। রাত ৯টার দিকে মুকুলসহ চারজন সেখানে গিয়েছিল। ভারতীয় নাগরিকরা তাদের ধরে বিএসএফের হাতে তুলে দেন। পরে ভারতীয় কয়েকজন ফোন করে সেই ঘটনা আমাদের জানান। 

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ভারতে প্রবেশের সময় চার বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। তাদের পরিবারের লোকজন আমার কাছে এসেছে। আমরা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করছি। 

এ বিষয়ে নওগাঁ-১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাদিকুর রহমানকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি। 


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের কারাগারে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু, লাশ দেশে আনার দাবি পরিবারের

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি কারাগারে প্রায় ১৮ মাস ধরে বন্দী থাকার পর এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা জানান, অসুস্থ হয়ে ৭ মার্চ রাতে দমদম জেলখানায় তাঁর মৃত্যু হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে মরদেহ দেশে আনার দাবি করেছেন তাঁরা।

ওই ব্যক্তির নাম আশরাফ হোসেন (৪৮)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আশরাফের স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় তাঁর স্বামীকে (আশরাফ) আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার স্বদেশ খালি থানায় সোপর্দ করা হয়। ভারতের আদালত তাঁকে ৩৯ মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তাঁকে দমদম জেলখানায় রাখা হয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

নাছিমা বেগম আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তাঁর পরিচিত একজন মুঠোফোনে স্বামীর মৃত্যুর খবর জানান। পরে সেখানে তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। স্বজনদের মাধ্যমে লাশ দেশে আনার জন্য কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনে আবেদন করেছেন।  

আশরাফ হোসেনের ভাই ইসমাইল গাজী বলেন, ‘আমার ভাই পেটের দায়ে ভারতে যাওয়ার সময় বিএসএফের কাছে ধরা পড়ে। আমরা তার লাশটা দেখতে চাই। সরকার আশরাফের লাশটা আমাদের দেখার সুযোগ করে দেখ (দিক)। এইটা আমাগো দাবি।’  
শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানী খাতুন বলেন, আশরাফ হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পরিবারকে কিছু খাদ্য ও অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা করা হবে। তাঁর মরদেহ কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত: পতাকা বৈঠকে বিজিরির প্রতিবাদ
  • সাতক্ষীরায় ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার স্বর্ণের বার জব্দ 
  • ভারতের কারাগারে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু, লাশ দেশে আনার দাবি পরিবারের
  • ‘আমার বাপটার লাশটা আইনা দেন, আমি নিজের হাতে গোসল করামু’
  • বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, কড়া প্রতিবাদ বিজিবির 
  • ভারতীয় খাসিয়াদের হামলায় নিহত যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
  • পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত, পতাকা বৈঠক
  • পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশির মৃত্যু
  • পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  • ভারতীয় খাসিয়াদের হামলায় বাংলাদেশি যুবক নিহত