মস্কোতে বিস্ফোরণ, রাশিয়াপন্থী প্যারামিলিটারি নেতা নিহত
Published: 3rd, February 2025 GMT
মস্কোতে একটি বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়ার পর রাশিয়াপন্থী প্যারামিলিটারি বাহিনীর নেতা হাসপাতালে মারা গেছেন। নিহত আর্মেন সারগসিয়ান ছিলেন ‘আরবাত’ ব্যাটালিয়নের নেতা।
সোমবার সকালে মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে একটি আবাসিক ভবনের প্রবেশদ্বারে বিস্ফোরণ ঘটলে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। ঘটনার স্থানটি রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে।
বিস্ফোরণের পর আর্মেন সারগসিয়ানকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সারগসিয়ানের একজন দেহরক্ষীও আছেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ সারগসিয়ানকে ‘অপরাধী চক্রের নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য বন্দীদের নিয়োগ করছিলেন।
সূত্র: বিবিসি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পিলখানায় নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের’ আত্মপ্রকাশ
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস এই সংগঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, নতুন সংগঠন গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের অবদান ও তাদের স্মৃতি ধরে রাখা এবং শহীদ পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা।
নাহরীন ফেরদৌস বলেন, গত ১৬ বছর ধরে শহীদ পরিবারগুলো প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন-চার হাজার মানুষের জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করছে। এই ধারাবাহিকতায় এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যেকোনো শহীদ পরিবারের সদস্য এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবেন।
তিনি জানান, সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য www.shaheedshenaassociation.com ওয়েবসাইটে এবং শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের ফেসবুক পেজে নিয়মিত প্রকাশ করা হবে। এই সংগঠন মিলাদ মাহফিল, প্রদর্শনী, বই প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ অন্যান্য সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শহীদ অফিসারদের নিজ নিজ অবদান তুলে ধরা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ সেনা পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।