২৪ ঘণ্টায় দুবাই-ঢাকায় রাসেলের দুই ম্যাচ, আশরাফুল বললেন, ‘আদর্শ নয়
Published: 3rd, February 2025 GMT
৩ হাজার ৫৪৭ কিলোমিটার দূরে দুবাইয়ে খেলছেন রোববার রাতে। এরপর সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আন্দ্রে রাসেল সোমবার দুপুরে খেলতে নামেন ঢাকায়। এতদূর পথ পাড়ি দিয়ে আসা রাসেলের ম্যাচ ফিটনেস কি আদৌ ছিল?
রংপুর রাইডার্সের হয়ে রাসেলের সঙ্গে খেলেছেন জেমস ভিন্স-টিম ডেভিড। তিনজনই ঢাকায় আসেন আজ। দুপুরে মাঠে পৌঁছান আলাদাভাবে। রাসেল আর বাকি দুজনের মধ্যে পার্থক্য একটাই; আগের রাতে খেলননি ডেভিড-ভিন্স। খেলেছেন এক দিন আগে তথা ১ ফেব্রুয়ারি রাতে।
খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এলিমেনেটরে বিধ্বস্ত হয় রংপুর। অথচ টুর্নামেন্টে টানা ৮ জয়ে সবার আগে প্লে’অফ নিশ্চিত করেছিল তারা। এরপর টানা পাঁচ হারে বেজে যায় বিদায় ঘণ্টা। প্লে’অফে এসে তিন বিদেশিকে ১ লাখ ডলার খরচ করে উড়িয়ে এনেও কোনো কাজ হলো না।
আরো পড়ুন:
বিপিএলে নানা অনিয়ম, আসিফ মাহমুদের কড়া হুঁশিয়ারি
সেরা দুইয়ে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংস
ম্যাচ শেষে রংপুরের সহকারী কোচ মোহাম্মদ আশরাফুলের কাছে বিদেশিদের এভাবে খেলানো নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন হয়। বিজনেস ক্লাসে আরামদায়ক ফ্লাইটের অজুহাত দিলেও এক পর্যায়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের উদাহরণ টেনে বললেন আসলে এটা আদর্শ নয়।
“ইংল্যান্ডে যেটা হয়, বিদেশি ক্রিকেটাররা লিগ পর্বে তিনটা ম্যাচ খেললে তারপর নকআউট পর্বে খেলার অনুমতি দেয়। আমাদের বিপিএলে এই ধরনের কোনো নিয়ম নেই। খেলার দিন সকালে নিয়ে এলেও খেলতে পারে। এটা তো অবশ্যই আদর্শ নয়।”
“রংপুর রাইডার্স ম্যানেজমেন্ট বড় তারকা ও কোয়ালিটি ক্রিকেটার আনার চেষ্টা করেছে। আমার মনে হয় না (মানিয়ে নেওয়া কঠিন)। তারা যেহেতু বিজনেস ক্লাসে এসেছে, ওই সমস্যাটা হওয়ার কথা না। আবহাওয়ায়ও ভিন্ন নয়। দুবাইয়ে তারা একইরকম আবহাওয়াতেই ছিল। হয়তোবা তারা রাতে খেলে এসেছে, এটা একটা (সমস্যা) হইতে পারে। তবে তারা পেশাদার ক্রিকেটার। ওই জায়গা থেকে মনে হয় না অতটা সমস্যা ছিল” -আরও যোগ করেন আশরাফুল।
দুবাইয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি খেলা রাসেল ছিলেন অফ-ফর্মে। বিপিএলের আগের চার ম্যাচে এক শূন্যসহ করেছেন মাত্র ১৫ রান। আর বিপিএলে করেছেন মাত্র ৪ রান।
বিগ ব্যাশ খেলে আইএলটি-তে আসা ডেভিডও ছিলেন রান খরায়। দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ১৯ রান। জেমস ভিন্সের আইএলটিতে শেষ ম্যাচে ফিফটি ছিল একটি। বিপিএলে ডেভিড রান করেছেন ৭টি আর ভিন্স থামেন ১ রানে।
আশরাফুল বলেন, “আমাদের কিন্তু গত বছর এই জিনিসটাই হয়েছিল। প্রচুর বিদেশি ক্রিকেটার তারা দুই ম্যাচ পরপর পরিবর্তন করেছে। এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটে আমাদের পরিকল্পনা ছিল, যারাই খেলবে তারা যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ খেলতে পারে। খুশদিল শাহ, আকিফ জাভেদ, ইফতিখার আহমেদ কিন্তু সবগুলো ম্যাচ খেলেছে। মাঝপথে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় খুশদিলের চলে যেতে হয়েছে।”
“আমাদের শুরু থেকে স্টিভেন টেলরও ছিল। তবে জিএসএলে যেভাবে খেলেছে এখানে সেটা পারেনি। সেই কারণেই ম্যানেজমেন্ট চেষ্টা করেছে বড় নামগুলো আনার। এটা তো অবশ্যই আদর্শ নয়। দলের সঙ্গে যদি অন্তত ২-৩ দিন না থাকে তাহলে তো দলের সদস্যদের চেনাও কঠিন হয়ে যায়।”
এদিন দারুণ ফর্মে থাকা ইফতেখারকেও খেলায়নি রংপুর। আশরাফুলের মতে এটি ব্যাকফায়ার করেছে। তবে তার মুখে খুশদিল শাহকে নিয়ে ছিল আক্ষেপ। এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় চলে যান মাঝপথে। ব্যাট হাতে ৩৯৬ ও বল হাতে নিয়েছেন ১৮ উইকেট।
“আমার মনে হয়, খুশদিল শাহর চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য বড় একটা সেটব্যাক হয়েছে। গায়ানা থেকে শুরু করে.
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ২০২৪ আশর ফ ল ব প এল কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
স্বপ্ন সত্যি হয়েছে: সায়রা
টগবগ করে ছুটছে ঘোড়া। রাজধানীর একশ ফিটের এলাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারকা মডেল সায়রা আক্তার জাহান। কোনো শুটিংয়ের আয়োজন নেই। নেই চিরচেনা লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনেরও হাঁকডাক। কাছে আসতেই অনেকে চিনে ফেলেছেন সায়রাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এই দৃশ্যও দেখছেন। তাহলে কি তিনি কোনো সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজে শুটিংয়ের জন্য ঘোড়ায় চড়া শিখছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করলেন সায়রা নিজেই।
সমকালকে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি ঘোড়াপাগল ছিলাম। ইচ্ছা ছিল হর্স রাইডিং শিখব। এ জন্য মূলত শেখা। মরুভূমিতে ঘোড়ায় চড়ার বিষয়টি কল্পনা করতাম আমি। ঘোড়া সহজাতভাবে মহৎ। এ কারণে প্রাণীটির প্রতি আমার মায়া অনেক। আমাদের সবার এমন কিছু আছে, যা আমরা কল্পনা ও অনুভব করি। আমার জন্য এটি ছিল সর্বদা ঘোড়া। অবশেষে, আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। ঘোড়ার পিঠে চড়ার প্রথম স্বাধীন অভিজ্ঞতা আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তবে আমার জন্য এটি সহজ করায় বন্ধু ইমরান ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। সে ঘোড়াপ্রেমীদের জন্য ‘বুরাক’ নামে ঘোড়ার রাইডিং স্কুল খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সপ্তাহের একটি নির্দিষ্ট সময় আমি সেখানে ক্লাস করছি।’
শুধু প্যাশন ছিল বলেই ঘোড়া চালনা শিখছেন নাকি অন্য কোনো বিষয় মাথায় রেখেছেন? ‘হ্যাঁ, অন্য একটি কারণও আছে। ঘোড়া নিয়ে পুরোপুরি অ্যাকশনধর্মী সিনেমা এদেশে এখনও কেউ বানায়নি। আমি চাই আগামীতে কেউ এ ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করুক। তখন চাইলেই আমি কাজ করতে পারব।’
হর্স রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঘোড়া চালনা খুব উপভোগ করছি। যারা ঘোড়াপ্রেমী তাদের এটি অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। প্রথমে একটু ভয় কাজ করছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। ঘোড়ার পিঠে ওঠা আমার জন্য অনেক সহজ। এখন ঘোড়া নিয়ে দৌড়ানো শিখছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে তা আয়ত্ত হবে। নতুন বছরের শুরুতে শেখা শুরু করেছি। শরীরে যতদিন শক্তি থাকবে, ততদিনই শিখব। কারণ এটি আমার প্যাশন। যে কেউ কনফিডেন্ট হলেই ঘোড়া চালনা শিখতে পারবে। তবে এ কাজে অবশ্যই লেগে থাকতে হবে।’
বিজ্ঞাপন ও মিউজিক ভিডিও দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু সায়রার, এরপর বড় পর্দায় অভিষেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে হঠাৎই কাজ থেকে বিরতি নেন।
গত ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প ‘লেগুনা’। আবুল খায়ের চাঁদের পরিচালনায় এ গল্পে তাঁকে দেখা গেছে মফস্বলের এক মেয়ের চরিত্রে। এরপর আরও কিছু কাজ করেছেন। এবারও ভালোবাসা দিবসে ভিন্ন আয়োজনে তাঁকে পাওয়ার যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সায়রা।