উবার চালক ছদ্মবেশে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করতো চক্রের সদস্যরা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তুরাগ থেকে ইতালিয়ান এক নাগরিকের পাসপোর্ট, মোবাইল, নগদ অর্থসহ সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় তারা।

এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করার পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন—খোরশেদ আলম ও শাহিন মিয়া। ছিনতাইয়ের ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে তুরাগ এলাকা থেকে ভুক্তভোগীর মূল্যবান জিনিসপত্র উদ্ধার করে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার ডিএমপির মুখপাত্র উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তুরাগ থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরে ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর ইতালি থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তিনি বিমানবন্দরের সামনে থেকে একটি উবার মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে উত্তরা-পশ্চিম থানার ১৯ নম্বর সেক্টরের প্রবাসী হোস্টেলে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। মোটরসাইকেল চালক ইতালিয়ান নাগরিককে হোস্টেলে না নিয়ে গিয়ে তুরাগ ১৫ নম্বর সেক্টরের এক নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনের পাশে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সব ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া তুরাগ থানায় একটি মামলা করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা উবার মোটরসাইকেল চালকের বেশ ধারণ করে যাত্রীদের টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতেন বলে স্বীকার করেছে।

ঢাকার তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহামম্মদ রাহাত খান বলেন, সোমবার তাদের আদালতে তোলা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাড়ে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো আমদানিকৃত ৭৪ গাড়ি

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিদেশ থেকে আমদানি করা ৭৪টি মূল্যবান গাড়ির ঠিকানা হলো রি-রোলিং মিল। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ভাঙারি হিসেবে গাড়িগুলো কেটে প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করে দিলো চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি সাপেক্ষে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে  বিক্রি করা হয়েছে স্ক্র্যাপ করা গাড়িগুলো।

জানা গেছে, নিলামে অংশ নেয় চট্টগ্রামের ১৫টিরও বেশি রি-রোলিং মিল। ৫৮টি লটে ৭৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য প্রতি টনের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা। কিন্তু নিলামে দর ওঠে ২৪ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত। অবশ্য, ১৩ হাজার টাকা থেকেই শুরু হয়েছিল ডাক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে  চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ৭৪টি গাড়ির কাটা টুকরো বিক্রি হয়েছে। প্রতি টনের ভিত্তি মূল্য ধরা হয়েছিল ৫৩ হাজার টাকা।

সূত্রমতে, গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই স্ক্র্যাপ করতে কাটা হয়েছিল এই ৭৪টি গাড়ি। মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতায় গাড়িগুলো আগেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল বলে দাবি চট্টগ্রাম কাস্টমসের।

চট্টগ্রাম কাস্টমস জানায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিলাম না হওয়ার কারণে বন্দর ইয়ার্ডে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। চুরি হয়ে যায় গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। চট্টগ্রাম বন্দরে ১৫ বছর ধরে পড়ে ছিল আমদানি করা ১২১টি দামি গাড়ি। দীর্ঘ সময় পড়ে থাকায় সেসব গাড়ির আয়ু শেষ হয়ে গেছে। অনেকগুলোর মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি অনুযায়ী, এত পুরনো গাড়ি নিলামে বিক্রির সুযোগ নেই। এ অবস্থায় বিআরটিএ, পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কাস্টমস নিলাম কমিটি ২০২২ সালে ১২১টি গাড়ি ধ্বংসের সুপারিশ করে।

বিকল্প কোনো পথ না থাকায় আমদানি করা গাড়িগুলো কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে কেজি দরে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কাস্টমস। কারণ শেডে থাকা ওই গাড়িগুলোতে বিস্ফোরণ বা দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে। প্রথম দফায় ৭৪টি গাড়ি কেটে স্ক্র্যাপ হিসেবে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে বাকি ৪৬টি গাড়িও কাটা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার (নিলাম) মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতায় গাড়িগুলো আগেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এজন্য এনবিআরের অনুমতি নিয়ে গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ আকারে বিক্রি করা হয়েছে।

এদিকে, মূল্যবান ৭৪টি গাড়ি ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করা নিয়ে বিডারদের অভিযোগের শেষ নেই। তারা বলেন, শর্তারোপের মাধ্যমে শুধুমাত্র রি-রোলিং মিলগুলোকেই উন্মুক্ত নিলামে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ