নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণের পা বিচ্ছিন্ন
Published: 3rd, February 2025 GMT
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে স্থল মাইন বিস্ফোরণে মো. তরিকুল (১৭) নামে বাংলাদেশি এক তরুণের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ফুলতলীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত তরুণ কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারকূপ ইউনিয়নের মৈষকুম এলাকার আহাম্মদ রশিদের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার দুপুরের দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ফুলতলী সীমান্ত পিলার ৪৮ এর নো মেনস ল্যান্ড এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চোরাই গরু আনতে গেলে স্থল মাইন বিস্ফোরণে তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তরিকুলকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণে তার বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আহত তরিকুলের চিকিৎসা চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ফুলতলী সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তি কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাউয়ারকুপ ইউনিয়নের মৈষকুম এলাকার বলে জানা গেছে। আহত ব্যক্তির পা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বার কাউন্সিলের ফি কমানোর দাবিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্য এবং চির উন্নত মম শির এর সামনে এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় পরীক্ষার ফি ৪০২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক ফি বাতিল চাই’, ‘অধিকার নিয়ে বাণিজ্য,চলবে না’, ‘জুডিশিয়ারিতে ননক্যাডার চাই’, ‘বার কাউন্সিলের অযৌক্তিক ফি কমাতে হবে’, ‘বৈষম্যমুক্ত বার কাউন্সিল চাই’সহ বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ইন্টিমেশন দেওয়ার পর প্রথমেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা দিতে হয়। এরপর আবার পরীক্ষায় বসার জন্য ৪ হাজার ২০ টাকা দিতে হয়। বিসিএসসহ অন্যান্য চাকরির ফি কমানো হয়েছে। আমাদের দোষটা কী? আমাদের দাবি ৪ হাজার ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ফি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করুন। আমরা এই যৌক্তিক দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী তৈয়ব শাহনূর বলেন, “রাষ্ট্র যন্ত্রের এতগুলো সংস্কার চলছে. এমন সময়ে সবার চোখের সামনে এ রকম অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। দ্রুত ফি কমাতে হবে। আর জুডিশিয়ারিতে ননক্যাডার বিচার বিভাগের স্বাতন্ত্র্য এবং ক্ষমতায়নের জন্যই জরুরি।”
আরেক শিক্ষার্থী সানজিদা সাবা বলেন, “বার কাউন্সিলের ফি কমানো আর জুডিশিয়ারিতে ননক্যাডার পদ যৌক্তিক দাবি। এগুলো নিয়ে টালবাহানা না করে দ্রুত মানতে হবে। এটা আমাদের অধিকার।
সম্প্রতি বার কাউন্সিল পূর্বের মত বার কাউন্সিল এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় ৪ হাজার ২০ টাকা ফি নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে।
ঢাকা/তৈয়ব/মেহেদী