বেসিক ব্যাংকের ১৪ মামলায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
Published: 3rd, February 2025 GMT
ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৫৯ মামলার মধ্যে ১৪টিতে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ আদেশ দেন। ১৪ মামলার মধ্যে একটি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে ও ১৩টি মামলা চার্জ শুনানির পর্যায়ে ছিল। এসব মামলার আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রাজিব দে বলেছেন, “১৪টি মামলার মধ্যে একটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে আছে। অপর ১৩ মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ছিল। তবে, বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে এসব মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৫৯টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলার কোনোটিতেই শেখ আবদুল হাই আসামি ছিলেন না। তবে, অভিযোগ ছিল, বেসিক ব্যাংকের মতো ভালো মানের রাষ্ট্রীয় ব্যাংককে কেলেঙ্কারির ব্যাংকে পরিণত করার হোতা ছিলেন শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের জুনে ৫৯ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। এর মধ্যে ৫৮টি মামলায় নাম আছে শেখ আবদুল হাইয়ের। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামির তালিকায় আছেন ৪৬ ব্যাংক কর্মকর্তা ও ১০১ জন গ্রাহক।
ঢাকা/মামুন/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ আবদ ল হ ই তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম নগরে জেলা প্রশাসনের অভিযান
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্পেশাল মোবাইল কোর্ট।
রবিবার (৯ মার্চ) জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানমের নির্দেশনায় নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজার ও চকবাজার-এ এই অভিযান পরিচালিত হয়।
কাজীর দেউড়ি বাজার-এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাকলিয়া সার্কেল এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার কণা। অভিযান চলাকালে সয়াবিন তেল, খেজুর, ডিম, ফলমূলসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজার পরিদর্শন করা হয়।
এসময় ভোজ্যতেল ধার্যকৃত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করা এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদন বিহীন পণ্য বিক্রয়, পণ্যের মোড়ক ঠিকমতো না থাকার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মোট ৩টি মামলায় মোট ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
একই দিনে মহানগরীর চকবাজার কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর সার্কেল এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম। অভিযান চলাকালে ওজনে কারচুপি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অভিযোগে ওজন ও পরিমাণ মানদণ্ড আইনে ৫টি মামলায় মোট ছয় হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রির দোকানসমূহে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয় এবং মজুদদারি রোধে সকল বিক্রেতাকে সতর্ক করা হয়। বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পুরো রমজান মাসব্যাপী চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
ঢাকা/রেজাউল/এস