ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ৫০টি অ্যাকাউন্টের ১৯ কোটি ৪১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে সাদেক খানের ১৮টি, তার স্ত্রীর ৮টি ও ছেলের ২৪টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। 

সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে তার নিজ ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ২৯টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ দশমিক ৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি মো.

সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদগুলো অবরুদ্ধ প্রয়োজন।

আবেদনে আরো বলা হয়েছে, অবৈধ উপায়ে ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। নিজ নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৯ টাকা জমা ও ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৭২৮ টাকা টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সাদেক খানের স্ত্রীর সম্পদের অবরুদ্ধ আবেদনে বলা হয়েছে, ফেরদৌসী খান অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। নিজ নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। 

তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক এমপি সাদেক খান ও স্ত্রী-ছেলের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ৫০টি অ্যাকাউন্টের ১৯ কোটি ৪১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে সাদেক খানের ১৮টি, তার স্ত্রীর ৮টি ও ছেলের ২৪টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। 

সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া সংসদ সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে তার নিজ ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ২৯টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ দশমিক ৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদগুলো অবরুদ্ধ প্রয়োজন।

আবেদনে আরো বলা হয়েছে, অবৈধ উপায়ে ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। নিজ নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৯ টাকা জমা ও ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৭২৮ টাকা টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে আসামি ফাহিম সাদেক খান ও আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সাদেক খানের স্ত্রীর সম্পদের অবরুদ্ধ আবেদনে বলা হয়েছে, ফেরদৌসী খান অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তার স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রেখেছেন। নিজ নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। 

তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হোটেল রুমে লুকানো ক্যামেরা খোঁজার উপায়