মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
Published: 3rd, February 2025 GMT
মিয়ানমার সীমান্তে অভ্যন্তরে গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে তরিকুল ইসলাম (১৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে মিয়ানমার সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী এলাকার মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে ঘটনাটি ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “মাইন বিস্ফোরণে তরিকুল ইসলাম নামের একজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি।”
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে গুলি ছুড়ে, ককটেল ফাটিয়ে টেন্ডার বাক্স লুট
মাদারীপুরে বোমা বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু
আহত তরিকুল ইসলাম কক্সবাজার রামু উপজেলার মহিষকুম গ্রামের আহমদ রশিদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্য পাচার হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচার হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তের ওপার থেকে আসছে অবৈধভাবে গরু। তরিকুলসহ আরো কয়েকজন আজ সীমান্তের ৪৮ নং পিলার পয়েন্টে গেলে মাইন বিস্ফোরিত হয়। আহত হন তরিকুল ইসলাম। এসময় সঙ্গে থাকা লোকজন তরিকুলকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো.
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “মাইন বিস্ফোরণটি মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে হয়েছে। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।”
এর আগে গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী সীমান্তের ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমার অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশকালে মাটিতে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আলী হোসেন (৩৬), রাশেদুল ইসলাম রাসেল (২৫) ও আরিফ উল্লাহ (৩২) নামে তিনজন আহত হন।
ঢাকা/চাইমং/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
যুবকের সৎ কাজ এবং পাথর সরে যাওয়া
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) বরাতে একটি হাদিস আছে।
নবী (সা.) বলেছেন, একবার তিনজন লোক পথ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিল। হঠাৎ পাহাড় থেকে এক খণ্ড পাথর পড়ে তাদের গুহার মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তারা একে অপরকে বলল, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা নিজেদের কিছু সৎকাজের কথা চিন্তা করে বের করো। তাঁর অছিলা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হলে হয়তো আল্লাহ তোমাদের ওপর হতে পাথরটি সরিয়ে দেবেন।
তাদের একজন বলতে লাগল, হে আল্লাহ! আমার আব্বা-আম্মা খুব বৃদ্ধ ছিলেন। আর আমার ছোট ছোট সন্তানও ছিল। আমি তাদের ভরণ-পোষণের জন্য পশু পালন করতাম। সন্ধ্যায় যখন বাড়ি ফিরতাম তখন দুধ দোহন করে আমার সন্তানদের আগে আমার আব্বা-আম্মাকে পান করাতাম। একদিন আমার ফিরতে দেরি হয়ে গেল। সন্ধ্যা হওয়ার আগে আসতে পারলাম না। এসে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন আমি দুধ দোহন করলাম, প্রতিদিন যেমন করি। তারপর আমি তাঁদের শিয়রে (দুধ নিয়ে) দাঁড়িয়ে রইলাম। তাদের জাগাতে লাগল না।
আরও পড়ুনসুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াতের গুরুত্ব১৮ অক্টোবর ২০২৩আবার তাদের আগে আমার বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোও সংগত মনে হলো না। বাচ্চারা অবশ্য দুধের জন্য আমার পায়ের কাছে পড়ে কান্নাকাটি করছিল। এভাবে ভোর হয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্যই এ কাজটি করে থাকি, তাহলে আপনি আমাদের সামনে থেকে পাথরটা খানিক সরিয়ে দিন, যাতে আমরা আসমানটা দেখতে পাই।
তখন আল্লাহ পাথরটাকে সামান্য সরিয়ে দিলেন। তাতে তারা আসমান দেখতে পেল।
দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমার এক চাচাতো বোন ছিল। পুরুষেরা যেভাবে নারীদের ভালোবাসে, আমি তাকে তার চেয়ে বেশি ভালোবাসতাম। একদিন আমি তার কাছে বাসনা প্রকাশ করলাম (অর্থাৎ, কুপ্রস্তাব দিলাম)। কিন্তু তার জন্য এক শ দিনার না নিয়ে আসা পর্যন্ত সে সম্মত হলো না। চেষ্টা করে আমি তা জোগাড় করলাম। যখন আমি তার পদযুগলের মাঝখানে বসলাম। তখন সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! আল্লাহকে ভয় কর। অন্যায়ভাবে আমার সতীত্ব হরণ করো না। তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, আমি যদি শুধু আপনার সন্তুষ্টির জন্য এ কাজটি করে থাকি, তাহলে আপনি আমাদের জন্য পাথরটা সরিয়ে দিন।
তখন পাথরটা কিছুটা সরে গেল।
আরও পড়ুনকোরআনের আলোকে জান্নাতে যাওয়ার জন্য কিছু ইঙ্গিত১৯ অক্টোবর ২০২৩তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ! আমি এক ফারাক চালের বিনিময়ে একজন শ্রমিক নিয়োগ করেছিলাম। যখন সে তার কাজ শেষ করে আমাকে বলল, আমার পাওনা দাও। আমি তাকে পাওনা দিতে গেলে সে তা নিল না। আমি তা দিয়ে কৃষি কাজ করতে লাগলাম। তা দিয়ে গরু ও তার রাখাল জমা করলাম। বেশ কিছু দিন পর সে আমার কাছে এসে বলল, আল্লাহকে ভয় কর (আমার মজুরি দাও)। আমি বললাম, এসব গরু আর রাখাল নিয়ে নাও। সে বলল, আল্লাহকে ভয় কর, আমার সঙ্গে ঠাট্টা কোরো না। আমি বললাম, আমি তোমার সঙ্গে ঠাট্টা করছি না, এগুলো নিয়ে নাও। তখন সে তা নিয়ে গেল। হে আল্লাহ! আপনি জানেন, যদি আমি আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজটি করে থাকি, তাহলে পাথরের বাকি অংশটুকু সরিয়ে দিন।
তখন আল্লাহ পাথরটা সরিয়ে দিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৩৩৩)
আরও পড়ুনসুরা লোকমানের উপদেশ বদলে দিতে পারে জীবনে চলার ধরন২০ অক্টোবর ২০২৩