তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের ধৈর্যধারণ করতে বললেন নাহিদ
Published: 3rd, February 2025 GMT
তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘তাদেরকে বলবো ধৈর্য ধারণ করতে। তাদের প্রতিও সরকার আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল। কিন্তু এই মুহূর্তে হয়তো অনেক কিছু করা সম্ভব না। তাই জনভোগান্তি না করে সেই বিষয়টা ও মাথায় রাখা উচিত। আশা করি ভালো কিছু হবে।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সরস্বতী পূজা পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের এই বিষয়টি সংবেদনশীল, শিক্ষার্থীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিল, মানুষ কিন্তু সমর্থন করেছিল। যেকোনো আন্দোলনের ক্ষেত্রে মানুষের সমর্থনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে কোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি ইতিবাচক এবং তা পূরণ করার চেষ্টা করা হয়। নাহিদ বলেন, সাত কলেজের সমস্যাটি দীর্ঘদিন ধরে একটি জটিল সমস্যায় পরিণত হয়েছিল। বিগত সময়ে শিক্ষা বিষয়ক একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবনে একটি প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার প্রথম থেকে সাত কলেজের সমস্যাটি সমাধান করতে সচেষ্ট। ৭ কলেজের প্রত্যেকটি কলেজকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। সেটি হয়তো ইতিবাচক কোনো কিছু বয়ে আনবে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ৫ আগস্টের পর প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমরা দেখেছি রিকশাওয়ালা সেজে এসেছিল। পরে বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের সাথে তাদের ছবি দেখা গেছে।
ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করেও আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা আছে মন্তব্য করে আসিফ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় না আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই তাদের মতাদর্শ বা নাম নিয়ে আবার ফিরে আসুক। কারণ এটা বাংলাদেশের সকল জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। সেই জায়গা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও সতর্ক আছে। এ পর্যন্ত তাদের অনেক চেষ্টা থাকার পরেও তারা সফল হয়নি আশা করি কোনো বিশৃঙ্খলা তারা সৃষ্টি করতে পারবে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম ত ত ম র কল জ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া অপরাধীদের নিজেদের কারাগারে ঠাঁই দেওয়ার প্রস্তাব এল সালভাদরের
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া বিশ্বের যেকোনো জায়গার ‘বিপজ্জনক অপরাধীদের’ নিজেদের কারাগারে ঠাঁই দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এল সালভাদর। গত সোমবার দেশটি এ প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মধ্য আমেরিকার দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা শেষে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিকের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে গেলেন মার্কো রুবিও। সফরে মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর প্রতি তিনি অনুরোধ করেছেন, তারা যাতে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টায় ট্রাম্প প্রশাসনকে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পথ মসৃণ করার পাশাপাশি এ বিষয়ে ‘তৃতীয় দেশের’ সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন রুবিও। এ চুক্তির আওতায় কোনো দেশ যদি তাদের নির্বাসিত নাগরিককে গ্রহণ না করে, তবে চুক্তিভুক্ত তৃতীয় দেশ তাদের গ্রহণ করবে।এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়েব বুকেলে ও দেশটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কো রুবিও। দেশটির রাজধানীর বাইরে কোটপেক এলাকায় বুকেলের বাসভবনে তাঁদের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া এল সালভাদরের নিজের নাগরিকদের গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাড়তি কিছু করার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন তাঁরা।
মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমএস-১৩, ট্রেন ডি অ্যারাগুয়ার মতো বিপজ্জনক অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর সদস্য যেকোনো অবৈধ অভিবাসীকে নিজেদের কারাগারে বন্দী রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি (এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট), যাতে আমরা এসব অপরাধীকে সেখানে পাঠাতে পারি এবং তিনি সেখানকার কারাগারে তাঁদের ঠাঁই দেবেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পথ মসৃণ করার পাশাপাশি এ বিষয়ে ‘তৃতীয় দেশের’ সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন রুবিও। এ চুক্তির আওতায় কোনো দেশ যদি তাদের নির্বাসিত নাগরিককে গ্রহণ না করে, তবে চুক্তিভুক্ত তৃতীয় দেশ তাঁদের গ্রহণ করবে।
বিপজ্জনক অপরাধীদের মধ্যে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা সেখানকার বৈধ অধিবাসী, তাঁদেরও নিজ দেশের কারাগারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বুকেলে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।মার্কো রুবিও, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরুবিও বলেন, বিপজ্জনক অপরাধীদের মধ্যে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা সেখানকার বৈধ অধিবাসী, তাঁদেরও নিজ দেশের কারাগারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন বুকেলে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। চুক্তির আরও বিশদ তথ্য সামনে আসবে বলে জানান তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট একটি নতুন ট্যাব চালু করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এল সালভাদরের কারাগারগুলোর অবস্থা ‘কঠোর ও বিপজ্জনক’।মার্কিন নাগরিকদের আইনত যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার বা বের করে দেওয়া যায় না।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট একটি নতুন ট্যাব চালু করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে এল সালভাদরের কারাগারগুলোর অবস্থা ‘কঠোর ও বিপজ্জনক’।
ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ভিড় বন্দীদের স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য গুরুতর হুমকি। অনেক কারাগারে স্যানিটেশন, পানীয় জল, বায়ু চলাচল, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও আলোর ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত কিংবা নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুনঅবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর প্রক্রিয়ার আওতা বাড়িয়েছেন ট্রাম্প২২ জানুয়ারি ২০২৫বুকেলে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে তার কারাব্যবস্থার একটি অংশ বাইরে করার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
রুবিওর ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট বুকেলে এক্সে লেখেন, ‘পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আমরা শুধু দোষী সাব্যস্ত হওয়া অপরাধীদের (দণ্ডপ্রাপ্ত মার্কিন নাগরিকসহ) আমাদের বড় কারাগারে নিতে ইচ্ছুক। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই পারিশ্রমিক তুলনামূলকভাবে কম হলেও আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ হবে, যা আমাদের পুরো কারাব্যবস্থাকে টেকসই করে তুলবে।’
আরও পড়ুনঅবৈধ অভিবাসীদের ৩০ দিনের মধ্যেই গুয়ানতানামো বেতে পাঠাতে চান ট্রাম্প০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুন২০৫ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫