অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করে সকল ধর্ম ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ‘জ্ঞানেশ্বরী আরাধনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় উপাসনালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সনাতনী শিক্ষার্থী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

উপাচার্য বলেন, “হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। আমি ছোটবেলায় লোহাগাড়ার যে গ্রামে বেড়ে উঠেছি, আমাদের বাড়ির উত্তর পাশে হিন্দু ও পূর্ব পাশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বসবাস ছিল। আমরা তাদের উৎসবে যেতাম, তারাও আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসত। এ সম্প্রীতিই আমাদের শক্তি, আমাদের ঐতিহ্য।”

তিনি বলেন, “আমাদের অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করে সকল ধর্ম ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। আমরা সকলে মিলে একতাবদ্ধ হয়ে সত্য, সুন্দর, সম্প্রীতি ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ আগামী গড়ে তুলব।”

নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় উপাসনালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.

দিব্যদ্যুতি সরকারের সভাপতিত্বে এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আবির্ভাব উপলক্ষে উপাসনালয়ে প্রতিমা স্থাপন, হোমযজ্ঞ, অঞ্জলি প্রদান, গীতি ও নৃত্য আলেখ্য, ধর্মীয় কুইজ, প্রসাদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সেমিনার

৮ম জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে 'খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগণ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুরাইয়া সাইদুন নাহারের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি  অধিদপ্তরের অফিস প্রধান, ক্যাব প্রতিনিধি এবং রেস্টুরেন্ট ও বেকারি দোকান মালিকরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে দেশের জনগণ সকলেই যদি সচেতন না হয় কোন আইন করেও ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ভেজাল রোধে একাধিকবার জরিমানা গ্রেফতার করলেও তার কোন সুরাহা হয়নি, তার কারণ হচ্ছে সবার মধ্যে সচেতন হওয়াটা জরুরী। তাহলেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হবে বলে জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলার নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং জেলা পর্যায়ে ২০২০ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপদে জনমান নির্ধারণ করা, নিরাপদ এবং মান নিশ্চিত করা, নিরাপদ খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন, মনিটরিং গাইড করা, মোবাইল কোড পরিচালনা করা, ও নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় বন্ধ ও আই নানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ প্রধান ও বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪০ খিত্তায় ২২ জেলার মুসল্লিদের সময় কাটছে ধর্মীয় বয়ান শুনে
  • প্লাটিনাম জয়ন্তী পালন করবে ঢাবির ভূগোল বিভাগ
  • বাদ্য-নৃত্য-মন্ত্রে দেবী সরস্বতীর আরাধনায় শিক্ষার্থীরা
  • সরস্বতী পূজা আমাদের সমাজেও বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে আসুক: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
  • সরস্বতী পূজা আজ
  • আনন্দ আয়োজন
  • সুন্দরবন দিবস পালনে খুলনাসহ ৫ জেলায় প্রস্তুতি
  • নারায়ণগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সেমিনার
  • শহীদ নজিরের কবর জিয়ারত বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের