ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে মার্কাস রাশফোর্ডের সম্পর্কটা দুই-চার বছরের না। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রেড ডেভিলদের সাথে জড়িয়ে আছে এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের নাম। সেই ঠিকানা ছেড়ে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দিলেন এই ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। মূলত ইউনাইটেডের বদলি কোচ রুবেন আমোরিমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াই ক্লব বদলাতে হলো রাশফোর্ডকে।
অন্যদিকে রেড ডেভিলদের প্রাক্তন ম্যানেজার এরিক টেন হাগ তার পছন্দের ফুটবলারদের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখিয়েছিলেন। ঠিক এই জায়গাটাতেই ঝামেলার শুরু। ইউনাইটেডের কোচ আমোরিম একজন পর্তুগিজ। দেশটির ম্যানেজাররা ঐতিহ্যগতভাবে শৃঙ্খলার ব্যাপারে আপোষহীন। যা জোসে মোরিনহো থেকে শুরু করে ফার্নান্দো সান্তোস সবার মাঝেই বিদ্যমান।
মাঠে পারফরম্যান্সের ওঠা-নামা থাকবেই। তবে নিজের সেরাটা দেওয়ার মানসিকতা না থাকাটাই সমস্যার। অনুশীলনে রাশফোর্ডের কাজে সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না আমোরিম। এই ৩৯ বছর বয়সী কোচ ইংলিশ ফরোয়ার্ডেকে নিয়ে এতোটাই হতাশ ছিলেন যে বলে ফেলেছিলেন- প্রয়োজনে ৬৩ বছর বয়সী গোলকিপিং কোচকে খেলাবেন তবু রাশফোর্ডকে না।
আরো পড়ুন:
প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ডের সপ্তাহ
ম্যানসিটিকে উড়িয়ে রাইসের হুংকার: লিভারপুলকে পেছনে ফেলব
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল দলের হয়ে রাশফোর্ড ৪২৬ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৩৮টি এবং করিয়েছিলেন ৬৩টি। জিতেছিলেন ৫টি শিরোপাও।
এদিকে শৈশবের ক্লাব ছেড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম রাশফোর্ড লিখেছেন, “আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং অ্যাস্টন ভিলাকে ধন্যবাদ জানাই ধারের চুক্তিটা সম্পন্ন করার জন্য। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে কিছু ক্লাব আমাকে নিতে চেয়েছে, তবে অ্যাস্টন ভিলায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল। অ্যাস্টন ভিলা এ মৌসুমে যেভাবে খেলেছে আমি এক কথায় সেটির ভক্ত। কোচের লক্ষ্যও আমার ভালো লেগেছে। আমি শুধু ফুটবলটাই খেলতে চাই এবং মাঠে নামার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। আমি বাকি মৌসুমের জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে শুভকামনা জানাতে চাই।”
রাশফোর্ড আপাতত ধারে যোগ দিয়েছেন ভিলায়। তবে সামনের গ্রীষ্মে পাকাপাকিভাবে যোগ দেওয়ার একটি ধারা আছে চুক্তিতে। ভিলা কোনধরনের লোন ফি দিচ্ছে না ইউনাইটেডকে, তবে রাশফোর্ডের সাপ্তাহিক বেতনের ৭৫ শতাংশ দিবে।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল অ য স টন ভ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সৌরবিদ্যুতের ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে প্রাণ-আরএফএল
সৌরবিদ্যুতের ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। মৌলভীবাজার জেলার গোবিন্দপুরে অবস্থিত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সমন্বিত কৃষি খামারে সৌর প্যানেল থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন করবে শিল্পগ্রুপটি।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রাণ-আরএফএল জানায়, প্রাথমিকভাবে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিদ্যুৎ কিনবে বিশ্বের খ্যাতনামা পোশাক বিপণনকারী সুইডিশ ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএমকে পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চলমান বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, এইচঅ্যান্ডএম ও আইএফসির মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, এইচঅ্যান্ডএমের হেড অব সাসটেইবেবিলিটি ফর প্রোডাকশন ইউসেফ এল নাটুর, আইএফসির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক বিক্রম কুমার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এ বিষয়ে আহসান খান চৌধুরী বলেন, একটি সুন্দর ও সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ নিজস্ব যে টেকসই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তার প্রতিশ্রুতি হিসেবে আমাদের এ খাতে বিনিয়োগ। এছাড়া সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা পাশে থাকতে চাই। বর্তমানে সারাবিশ্ব টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। আমরাও এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
তিনি বলেন, মৌলভীবাজারের গোবিন্দপুরে প্রায় ১০০০ বিঘা জমির ওপর আমাদের সমন্বিত কৃষি খামার রয়েছে, যেখানে সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। শুরুতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য নীতি সহায়তা দিতে হবে।