সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে নতুন বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘চুপ থাকার সময় শেষ, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ।’ 

সোমবার রাজধানীর বাড্ডা থানার অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় পলকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ মামলায় রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, পলককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর রিদুয়ানুল হক তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার। ওই দিন বিকেল ৩টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হন তিনি।

এ ঘটনায় তার পরিবার গত ২১ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজার থানার মামলায় আসামি শেখ হাসিনাসহ ১৩ জন

২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারা অভ্যন্তরে বিডিআরের সাবেক উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেছে রাজধানীর চকবাজার থানা।

আদালতের নির্দেশে গত ৪ মার্চ চকবাজার থানার ওসি এফআইআর গ্রহণ করেন। গত ৭ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জুনাইদ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

রোববার চকবাজার থানার ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।

গত বছর ২৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন আব্দুর রহিমের ছেলে আইনজীবী আব্দুল আজিজ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় যে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, তা রিকল করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম মামলা এটি। এ মামলায় জেনারেল আজিজ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি বিডিআর বিদ্রোহ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা চতুর্থ স্থানে। 

বাকি উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন– সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এমপি নূরে আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম ও শেখ হেলাল, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী-এমপিসহ আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ