বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ‍্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত‍্যাগের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)। এ সময় পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (সাধারণ সম্পাদক এবি পার্টি)।

এ সময় সংগঠনটির সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে মুখপাত্র ফরিদ আহমেদ, এস এম ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্য বিনিয়োগকারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

ছয় মাসে লোকসানে ৬ কোম্পানি

সূচকের উত্থান, কমেছে লেনদেন

সম্মেলনে পুঁজি রক্ষার্থে এবং আগামীর বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও একটি সুন্দর পুঁজিবাজার গঠনে মাকসুদের পদত‍্যাগ দাবি করা হয়েছে।

সমাবেশে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বলেন, “রাশেদ মাকসুদ অযোগ্য। তার শেয়ারবাজার নিয়ে জ্ঞান নাই। তারপক্ষে শেয়ারবাজার পরিচালনা করা সম্ভব না। তাই শেয়ারবাজারের স্বার্থে তার দ্রুত পদত‍্যাগ দাবি করা হয়েছে।”

প্রতিবাদ সমাবেশে পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে দাবি-বিএসইসির চেয়ারম্যান ও আইসিবির চেয়ারম্যানকে দ্রুত অপসারণ করে নতুন যোগ্য চেয়ারম্যান নিয়োগ করে পুঁজিবাজারকে বাঁচাতে হবে। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে গেইন-ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে (তদন্ত ও অসময়ে জেড গ্রুপে প্রেরণ বিষয়ে)।

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর বিধান সংস্কার করা প্রয়োজন। কারণ কোম্পানির জেড ক্যাটাগরিতে গেলে সর্বোপরি বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোম্পানিগুলোকে আয়ের নূন্যতম ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবিসহ পুঁজিবাজারে তাদের যতটুকু বিনিয়োগ করার কথা তা শতভাগ কার্যকর করতে হবে।

টাস্কফোর্সের সংস্কারগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দ্রুত জানাতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করে বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বশান্ত করা হচ্ছে। কোম্পানিগুলোকে নূন্যতম শেয়ার ধারণ ৩০ শতাংশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। বিএসইসির দায়িত্ব অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার বিনিয়োগ নিয়ে আসা। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থহলে তার বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা/এনটি/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসইস

এছাড়াও পড়ুন:

সিকদার পরিবারের ৪২ বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ

ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার এবং তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৪২টি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এই তথ্য দিয়েছেন। 

দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান এসব অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আরো পড়ুন:

কড়া নিরাপত্তায় বিএসইসিতে ঢুকলেন চেয়ারম্যান-কমিশনার

চেয়ারম্যান-কমিশনার পদত্যাগ না করায় বিএসইসিতে কর্মবিরতি

আবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে-বেনামে জনগণের আমানতের অর্থ লুটপাটসহ ঘুষের বিনিময়ে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ দেয়া ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে।অনুসন্ধানকালে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সাথে সংশ্লিষ্ট সিকদার পরিবারের সদস্য কর্তৃক জনগণের আমানতকৃত হাজার হাজার কোটি টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদান ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের তথ্য পাওয়া যায়। ন্যাশনাল ব্যাংক লি. এর লিগ্যাল ডিভিশন থেকে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান।  

এদিকে গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৫০৬তম সভার নির্দেশনা অনুযায়ী, সিকদার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এবং এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ধারণকৃত শেয়ারের তালিকা প্রেরণ করা হয়। ওই শেয়ারগুলো হস্তান্তর স্থগিত/ব্লক করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যাংক ও ব্যাংকের আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ব্যাংক থেকে অনুরোধ জানানো হয়।

আবেদনে আরো বলা হয়েছে, বর্তমানে সিকদার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন। বিদেশে থেকে তারা তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলো বিক্রি বা স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। যেহেতু এসব বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সিকদার পরিবারের সদস্য এবং তাদের নিকট আত্মীয়দের নামে অর্জিত শেয়ারগুলো বিক্রি বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, সেহেতু এসব বিও অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কী বার্তা দেবেন বিএসইসি চেয়ারম্যান, অপেক্ষায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
  • বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তা অফিস করেনি, গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
  • সিকদার পরিবারের ৪২ বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ
  • সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন বিএসইসি চেয়ারম্যান
  • বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে পুঁজিবাজার স্টেকহোল্ডাররা
  • বিএসইসি চেয়ারম্যান-কমিশনারকে অবরুদ্ধ, অপরাধীদের শাস্তি চায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন
  • বিএসইসির কমিশনকে অবরুদ্ধ: অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির দাবি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের
  • যেসব অভিযোগে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএসইসি
  • বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
  • কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে অচল বিএসইসি