সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন, তার ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলের তিন দিনের ও অপর একটি মামলায় তার ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে আদালতে ঘণ্টাব্যাপী শুনানি শেষে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শারমিন নাহার এ আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, কামরুল হাসান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মানষ রঞ্জন ঘোষ, সদর থানার পরিদর্শক জাহাঙ্গীর সেলিম এবং আসামিপক্ষে শফিকুল আলম, ইব্রাহিম শাহীন, কাজী শহিদুল হক আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে সাবেক মন্ত্রী, তার ভাই ও ভগ্নিপতিকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা আদালত চত্বর ঘিরে রাখেন। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়ার সময় মন্ত্রীর ওপর ডিম নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলায় একটি মামলার আসামি হিসেবে তিন জনের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম জাহাঙ্গীর।

আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাড.

কামরুল হাসান, মারুফ আহম্মেদ বিজন এবং মোখলেছুর রহমান স্বপন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। একইসঙ্গে আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে রিমান্ড না দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন অ্যাড. খন্দকার আব্দুল মতিন, একেএম শফিকুল আলম ও ইব্রাহিম শাহীন।

এদিকে রিমান্ড শুনানিকালে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। আসামিদের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেন তারা।

গত ৫ আগস্ট মেহেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলার ঘটনায় সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের রাশেদুল ইসলাম সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলার প্রধান আসামি হিসেবে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে ২৯ জানুয়ারি রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মেহেরপুর নিয়ে আসা হয় ফরহাদ হোসেনকে। ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে হত্যা মামলায় তাকে আটক করেছিল র‍্যাব। তার নামে রাজধানী ঢাকাতেও কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও মেহেরপুরে রয়েছে আরও কয়েকটি মামলা।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর হামলার দুটি মামলায় তাকে জেল গেটে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে এবং একটি মামলায় রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত জেল গেটে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে ফের আদালতে তোলা হলে আদালত আবারও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফরহ দ হ স ন মন ত র জ র কর র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনার মুক্তিতে বাধা নেই 

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় জামিন পেয়েছেন মডেল মেঘনা আলম। তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল করা হয়েছে। ফলে, মেঘনার কারামুক্তিতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।

মেঘনার পক্ষে অ্যাডভোকেট মহসিন রেজা, তাহমীম মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত নারী বিবেচনায় মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করেন।

মেঘনার আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন বলেছেন, মেঘনার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছে। ধানমন্ডি থানার মামলায় জামিননামা জমা দেওয়া হয়েছে। আজকেই কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছে যাবে৷ সেক্ষেত্রে তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই। আশা করছি, আজ না হলেও মঙ্গলবার কারামুক্ত হবেন মেঘনা।

গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক/প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছে। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের মালিক। আগে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল তার। আকর্ষণীয় ও স্মার্ট মেয়েদেরকে নিজের প্রতিষ্ঠানে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করতেন দেওয়ান সমির। তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে সহযোগীদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কূটনীতিককে টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অংকের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করেন তিনি।

এ মামলায় মেঘনা আলমের সহযোগী দেওয়ান সমির রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ
  • চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, রোববার ফের শুনানি
  • চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, শুনানি হতে পারে রোববার
  • আনিসুল-সালমান-মামুন রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আতিক
  • আবারও নিরপরাধ দাবি হিটু শেখের, ভিন্ন কথা সাক্ষীদের
  • কিউআর কোডসহ অনলাইন যাচাই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট
  • পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বাবুল কারাগারে
  • ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে আইনি নোটিশ
  • মডেল মেঘনার মুক্তিতে বাধা নেই