বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা, ‘ভয়’ দেখিয়ে কিশোরীর গর্ভপাত
Published: 3rd, February 2025 GMT
যশোরের শার্শায় মিষ্টি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৪) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ভয় দেখিয়ে গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে আবু তালেব (৬০) নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আজ সোমবার শার্শা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত আবু তালেব উপজেলার বসতপুর কলোনি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে। তবে ভুক্তভোগী কিশোরীর গ্রামে ঘরজামাই থাকেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী জন্ম থেকে বাকপ্রতিবন্ধী। কিশোরী ঘরজামাই আবু তালেবের বাড়িতে প্রায় যাতায়াত করত। এই সুযোগে মিষ্টি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ডেকে ধর্ষণ করতেন আবু তালেব। একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার বাবা-মা বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিদের জানান এবং বিচার চান। কিন্তু বিচার না করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই কিশোরীর বাবা-মাকে ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। পরে গোগা বাজারের পল্লী চিকিৎসক রেজার স্ত্রীর সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে গর্ভপাত করানো হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, ‘কিছুদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দেওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে তাকে স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে রিপোর্টে দেখা যায় সে ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে বিষয়টি মেয়ের কাছে জানতে চাইলে সে ইশারায় আবু তালেবের নাম বলে কেঁদে ওঠে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
শার্শা থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে উদ্ধার করে সোমবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে দুই নেতার দলীয় পদ স্থগিত
সিরাজগঞ্জ সদরে বাবলু মিয়া নামের এক বিএনপি নেতার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে একই দলের দুই নেতার দলীয় পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ এনামুল হকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য রেজা তালুকদার এবং তাঁর ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বোরহান উদ্দিন তালুকদার।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদার সম্প্রতি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে তাঁদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ স্থগিত করা হলো। একই বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের কালিয়া কান্দাপাড়া হাট ইজারার বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে রোববার দিবাগত রাতে বাড়ি ফেরার পথে বাবলু মিয়াকে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেন রেজা তালুকদার ও তাঁর লোকজন। বাবলু মিয়া একই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।