ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ৫০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবের মধ্যে আছে সাদেক খানের ১৮টি, স্ত্রীর ৮টি ও ছেলের ২৪টি। এই ৫০ ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন। 

আবেদনে বলা হয়, সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমিদস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৬৬৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রাখেন। সংসদ সদস্য থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজের নামে ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ২৯টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০.

৫০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করায় সাদেক খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদগুলো অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

সাদেক খানের ছেলে ফাহিম সাদেক খানের বিষয়ে বলা হয়েছে, তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৫২ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রাখেন। নিজ নামে থাকা ৭০টি ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৯ টাকা জমা ও ১৫ কোটি ৬২ লাখ ২ হাজার ৭২৮ টাকা টাকা উত্তোলন করেছেন। প্রাপ্ত অর্থ ও সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় ফাহিম সাদেক খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। 

তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফাহিম সাদেক খান এবং সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন/হস্তান্তর করে বিদেশে আত্মগোপনের আশঙ্কা আছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে ফাহিম সাদেক খান এবং সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক। 

ফেরদৌসী খানের বিষয়ে বলা হয়েছে, তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ দখলে রাখেন। নিজ নামে থাকা ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন তিনি। প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তা হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ফেরদৌসী খান এবং সাদেক খান তাদের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর করে বিদেশে আত্মগোপনের আশঙ্কা আছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালে ফেরদৌসী খান এবং সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

ঢাকা/মামুন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষমত র অপব যবহ র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আর্জেন্টিনা থেকে এল ৫০ হাজার ২০০ টন গম

আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার ২০০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৩০ হাজার ১২০ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ২০ হাজার ৮০ টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

এর মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে গম খালাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ