রাবিতে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 3rd, February 2025 GMT
পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগ জুবায়ের জিহান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আইবিএ শাখার যুগ্ম সম্পাদক। তার বাবা ডা. এফএমএ জাহিদ আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, জুবায়ের পরীক্ষা দিতে আসার খবর পেয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আইবিএ চত্বরে গিয়ে তাকে আটক করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহযোগিতায় মতিহার থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য শেখ নুর উদ্দিন আবির, আহ্বায়ক সদস্য আবির হাসান হিমেল ও ছাত্রদল কর্মী শাহরুখ।
ছাত্রদলের নেতাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য জিহানের সঙ্গে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের যোগসূত্র আছে। নিষিদ্ধ সংগঠন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিক দত্তের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং শনিবার রাতে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ তাদের অবৈধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাতের আঁধারে মিছিল করে এবং অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা ওর (জিহান) রাজনৈতিক কোন পরিচয় জানতাম না। সে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। কয়েকজন শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় তাকে পরীক্ষার পর আটক করে। আমি তখন প্রক্টর অফিসকে জানাই এবং তাকে প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে পুলিশ কাছে সোপর্দ করি।”
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “ছাত্রলীগের এক নেতা পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুরনো কোনো মামলায় তার নাম আছে কি-না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাম থাকলে তাকে গ্রেপ্তার দেখান হবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল পর ক ষ আইব এ
এছাড়াও পড়ুন:
সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন
নবীজি(সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি।
১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)
২. আবু আবদুর রহমান ফাহরি (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সঙ্গে আমি হোনাইনের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। গ্রীষ্মের দিনে আমরা প্রচণ্ড রোদের মধ্য দিয়ে চলছিলাম। একসময় সকলে গাছের ছায়ায় বসলাম। সূর্য হেলে পড়লে আমার বর্মটি পরলাম এবং ঘোড়ায় চড়ে নবীজির কাছে এলাম। তিনি তার তাঁবুতে ছিলেন। তাকে সালাম দিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল, ‘আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে কি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর তিনি ‘বেলাল’ বলে ডাক দিলেন। বেলাল (রা.) সামুরা গাছের নীচ থেকে ছুটে এলেন। তার ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল যেন পাখির ছায়া। তিনি বললেন, ‘আমি হাজির।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫,২৩৩)
‘
পাখির ছায়া’ বলার কারণ হলো, নবীজির আওয়াজ শোনামাত্র বেলাল (রা.) এত দ্রুত এসেছেন, যেন তার দু’পা মাটিতে ছিল না, ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল পাখির ছায়া।
৩. উসাইদ ইবনে জহির (রা.) বলেন, রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) তোমাদের একটি বিষয় নিষেধ করেছেন, যা তোমাদের জন্য উপকারী। তবে মনে রেখো, আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করা আরও বেশি উপকারী। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩,৮৯৭)
অর্থাৎ, আল্লাহর রাসুল যা বলেছেন, তাতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপকারী বিষয় গ্রহণে নিষেধ করেছেন বোঝা গেলেও তাতে দ্বিধায় পড়েননি সাহাবিরা। বরং বুঝে নিয়েছেন যে, নিশ্চয় রাসুলের কথা মেনে নিলে আল্লাহ এর চেয়ে বেশি উপকার দেবেন।