জয়পুরহাটে বিয়ের দু’দিন আগে নিখোঁজ হওয়া মাহমুদুল হাসান পিয়াস (২৮) নামে এক তরুণের মরদেহ সতীঘাটা এলাকার একটি কবরস্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার স্থানীয় লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত মাহমুদুল হাসান পিয়াস জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে। তিনি জেলা শহরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।

পুলিশ, পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার মাহমুদুল হাসান পিয়াসের বিয়ের দিন ধার্য করা ছিল। এর দু’দিন আগে গত ২৯ জানুয়ারি সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তাঁর ভাই মেসবাহুর গত ৩০ জানুয়ারি সদর থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন। 

রোববার বিকেলে সতীঘাটা এলাকায় কবরস্থান-সংলগ্ন একটি গাছে পিয়াসের মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত পিপাসের বন্ধু শুভ হোসেন জানান, তাঁর বন্ধু বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার বিয়ের জন্য তিনি কমিউনিটি সেন্টারের অগ্রিম ভাড়াও পরিশোধ করেন। হঠাৎ করে নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। একই অভিযোগ করেন তরুণের ভাই মাহবুবুর রহমান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ের দু’দিন আগে নিখোঁজ তরুণ, কবরস্থানে গাছে ঝুলছিল মরদেহ

জয়পুরহাটে বিয়ের দু’দিন আগে নিখোঁজ হওয়া মাহমুদুল হাসান পিয়াস (২৮) নামে এক তরুণের মরদেহ সতীঘাটা এলাকার একটি কবরস্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার স্থানীয় লোকজন ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত মাহমুদুল হাসান পিয়াস জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে। তিনি জেলা শহরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।

পুলিশ, পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার মাহমুদুল হাসান পিয়াসের বিয়ের দিন ধার্য করা ছিল। এর দু’দিন আগে গত ২৯ জানুয়ারি সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তাঁর ভাই মেসবাহুর গত ৩০ জানুয়ারি সদর থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন। 

রোববার বিকেলে সতীঘাটা এলাকায় কবরস্থান-সংলগ্ন একটি গাছে পিয়াসের মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত পিপাসের বন্ধু শুভ হোসেন জানান, তাঁর বন্ধু বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার বিয়ের জন্য তিনি কমিউনিটি সেন্টারের অগ্রিম ভাড়াও পরিশোধ করেন। হঠাৎ করে নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। একই অভিযোগ করেন তরুণের ভাই মাহবুবুর রহমান।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে কবর থেকে ৩ মরদেহ চুরি
  • সাভারে পুলিশের গুলিতে নিহত ইয়ামিনের মরদেহ তুলতে দেয়নি পরিবার