তিনদিনের রিমান্ড শুনানি শেষে সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান রিমান্ড শুনানি শেষে পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুজনকে আবারও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিখোঁজ ইজিবাইক চালক আল আমিনকে গুম ও হত্যার অভিযোগের মামলায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

শনিবার বিকেলে তাকে রিমান্ডের জন্য পঞ্চগড় সদর থানায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে সদর থানা পুলিশ।

পঞ্চগড় জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ইয়াছিনুল হক দুলাল বলেন, আজকে যেহেতু আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি এজন্য আমরাও কোনো বিরোধিতা করিনি। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, তিন দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক রেলমন্ত্রী সুস্থ আছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন। আমরাও দেখেছি তিনি সুস্থ আছেন। কাল মঙ্গলবার আদালতে তার জামিন আবেদন করা হবে।

পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ৪ আগস্ট থেকে নিখোঁজ হন আল আমিন নামে এক ইজিবাইক চালক। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মনু মিয়া গত ১০ নভেম্বর সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ল ইসল ম স জন স ব ক র লমন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

চকবাজার থানার মামলায় আসামি শেখ হাসিনাসহ ১৩ জন

২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারা অভ্যন্তরে বিডিআরের সাবেক উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেছে রাজধানীর চকবাজার থানা।

আদালতের নির্দেশে গত ৪ মার্চ চকবাজার থানার ওসি এফআইআর গ্রহণ করেন। গত ৭ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জুনাইদ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

রোববার চকবাজার থানার ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।

গত বছর ২৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন আব্দুর রহিমের ছেলে আইনজীবী আব্দুল আজিজ। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় যে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে, তা রিকল করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম মামলা এটি। এ মামলায় জেনারেল আজিজ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি বিডিআর বিদ্রোহ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা চতুর্থ স্থানে। 

বাকি উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন– সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এমপি নূরে আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম ও শেখ হেলাল, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী-এমপিসহ আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামালপুরে শিক্ষার্থী-আইনজীবী সংঘর্ষ, আহত ৮
  • আদালত প্রাঙ্গণে পলক বললেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে জেগে ওঠো বাংলাদেশ
  • তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘জাতীয়তাবাদী চালক দলের’ জুয়েল ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা
  • রাজধানীতে ছিনতাইকারীর কবলে আইনজীবী
  • আদালত প্রাঙ্গণে ইনু বললেন, আমি ঠিক আছি, চিন্তা করবেন না
  • চকবাজার থানার মামলায় আসামি শেখ হাসিনাসহ ১৩ জন
  • ইনু বললেন, আমি ঠিক আছি, আপনারা চিন্তা করবেন না
  • গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা প্ররক্ষা নির্দেশিকা বাতিল
  • কুষ্টিয়ার আদালতে হাস্যোজ্জ্বল ইনু, আইনজীবীদের বললেন ‘কোনো চিন্তা কইরেন না’
  • বিচারালয়ের দুর্নীতি তুলে ধরতে সাংবাদিকদের আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের