হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মোহাম্মদ শামীম আহমেদকে মারধরের পর পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে শহরের আরডি হল এলাকায় তাঁকে মারধরের পর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় সোপর্দ করেন বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। 

মোহাম্মদ শামীম আহমেদ সদর উপজেলার উচাইল শান্তিসা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আদালতের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি)। 

জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় শামীম আহমেদের নেতৃত্বে উত্তর শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর লিফলেট বিতরণের ছবি ও ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, শামীম আহমেদসহ কয়েকজন লিফলেট বিতরণ করছেন। রাত ১০টার দিকে শহরের আরডি হল এলাকায় তাঁকে আটক করেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাঁকে মারধরের পর হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। 

হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, ‘লিফলেট বিতরণের অভিযোগে জনতা শামীম আহমেদকে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা রয়েছে কিনা দেখা হচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ শ ম ম আহম দ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে চীনের ১৫৫ জন নাগরিক’

রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিপক্ষে কমপক্ষে ১৫৫ জন চীনা নাগরিক লড়াই করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার এ দাবি করেছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে দুই চীনা যোদ্ধাকে আটক করে ইউক্রেন। এরপরই এই মন্তব্য করলেন জেলেনস্কি। 

বুধবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জেলেনস্কি তার সরকারের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে দাবি বলেন, “আরো অনেক’ চীনা নাগরিক এই যুদ্ধে জড়িত।

বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, চীনা সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন তারা “প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোকে চীনের ভূমিকা সঠিকভাবে ও বিচক্ষণতার সাথে বোঝার এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, “চীন ইউক্রেনীয় সংকটের স্রষ্টা বা পক্ষ নয়। আমরা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের একজন দৃঢ় সমর্থক এবং সক্রিয় প্রচারক।”

লিন বলেন, চীন “সবসময় তার নাগরিকদের সশস্ত্র সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে থাকতে এবং যেকোনো ধরণের সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত হওয়া এড়াতে বলেছে, বিশেষ করে যেকোনো পক্ষের সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ এড়াতে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ