আপনারাই দেশের গু-গোবর, ময়লা আবর্জনা, কাকে উদ্দেশ্য করে বললেন পরীমণি
Published: 3rd, February 2025 GMT
শুরু হয়েছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা-২০২৫। এবারের মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টলের পাশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত একটি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা।
বইমেলায় গিয়ে অনেককে এই ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করতেও দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নেটিজেনরা নানা মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেদের মত প্রকাশ করে চলেছেন।
বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সরাসরি ডাস্টবিন বিতর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করলেও, নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বইমেলার মতো এত সুন্দর আয়োজন নোংরা করতেছেন আপনারা কারা আসলে? আপনারাই এই দেশের গু-গোবর, ময়লা আবর্জনা।’
পরীর এই পোস্টের পর মন্তব্যের ঝড় উঠে। অনেকেই তাঁকে সাহসী বলে প্রশংসা করছেন। বিএইচ বাঁধন নামে একজন লিখেছেন, ‘সময়ের সাহসিনী মেয়ে।’ মো.
তবে সমালোচনাও রয়েছে সমানতালে। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, পরীমণি আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। একজন লিখেছেন, ‘পরী মণি ফিরে এসেছে আওয়ামী লীগ হয়ে।’ এমন মন্তব্যের জবাবে অন্য এক পক্ষ বলছেন, সাহসিকতার জন্য তাকে রাজনৈতিক রঙে না দেখাই ভালো।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’
ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।
একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’
এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।
মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’