ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন, ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৯.
ডিএসইতে মোট ৩৯৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২১৯টি কোম্পানির, কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪৩১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩.০৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৭৩৭ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১.৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৩৭৬ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১.১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৯২৬ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৭.২৮ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ২০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১০০টি কোম্পানির, কমেছে ৬৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির।
দিনশেষে সিএসইতে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট স এসই ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২ থেকে ৬ মার্চ) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলে সিএসইতে বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ২১ হাজার ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
শনিবার (৮ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৩.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.৮৭ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬.১১ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৬০ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৪৭.৩৩ পয়েন্ট বা ৪.৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭০ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ২১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ২৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টির, দর কমেছে ২৮৯টির ও দর অপরিবর্তিত ২০ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৮টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩.১২ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.০৭ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৭৯৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৮২ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৭৯৪ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৩৮ শতাংশ কমে ৯৪৩ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.৩৮ শতাংশ কমে ২ হাজার ৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৬৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ২১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৭৪৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩২৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, দর কমেছে ২১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা