বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হককে দুদকের এক মামলায় ও প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে আলোচিত পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনকে ৩ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। 

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যৈষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। মহিবুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। আবেদ আলীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আল আমিন। আদালত তাদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। এদিন তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত বছর ২০ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস থেকে মহিবুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যুবদল নেতা শামীম হত্যার ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তাকে আরও কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত বছর ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরই সৈয়দ আবেদ আলী জীবনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মহাকাশে অবস্থান পরিবর্তন করছে বিরল এক কৃষ্ণগহ্বর

সম্প্রতি একটি অতিকায় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরটি দুটি কৃষ্ণগহ্বরের সংযুক্তির কারণে দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। বিরল এই কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ শুরু শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কৃষ্ণগহ্বরটি তার ছায়াপথ ৩সি ১৮৬ থেকে প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটে যাচ্ছে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা গেছে, ছায়াপথের নক্ষত্রের অবস্থান বিশ্লেষণের সময় গতিশীল কৃষ্ণগহ্বরটি গ্যালাকটিক কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ছিল; কিন্তু বর্তমানে কৃষ্ণগহ্বরটি তার আগের অবস্থানে নেই। কৃষ্ণগহ্বরটির এই অবস্থান পরিবর্তন কোনো বড় ঘটনার ইঙ্গিত দিচ্ছি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সম্ভবত কোনো গ্যালাকটিক সংঘর্ষ বা সংযুক্তির কারণে এমনটা ঘটছে।

আরও পড়ুনকৃষ্ণগহ্বর থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী রশ্মি২০ জানুয়ারি ২০২৫

গভীর অনুসন্ধানের জন্য বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের নির্গত আলো বিশ্লেষণ করতে চিলির টেলিস্কোপ ও হাওয়াইয়ের সুবারু টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। দেখা গেছে, কৃষ্ণগহ্বরের অ্যাক্রিশন ডিস্ক থেকে নীল আলো আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। যার অর্থ কৃষ্ণগহ্বরটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে গ্যাস অনেক দুর্বল নীল আলো প্রদর্শন করছে, যার কারণে বোঝা যাচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরটি তার অন্যান্য ছায়াপথের তুলনায় বেশি গতিতে ছুটছে।

আরও পড়ুনআকারে বড় কৃষ্ণগহ্বর বিজ্ঞানীদের নজর এড়িয়ে যায় কেন১৫ জানুয়ারি ২০২৫

বিজ্ঞানীরা জানান, দুটি ছায়াপথের সংঘর্ষের ফলে তৈরি হয়েছে কৃষ্ণগহ্বরটি। এর ফলে সেখানে থাকা কেন্দ্রীয় কৃষ্ণগহ্বর একটি বৃহত্তর ছায়াপথে মিশে গেছে। এই সংমিশ্রণের ফলে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ তৈরি হয়েছে, যা বাইরের দিকে বিকিরণ শুরু করেছে। বিরল ধরনের এই অতিকায় কৃষ্ণগহ্বরের বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ