১,০,৪,১,৮। রংপুর রাইডার্সের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের রান। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে রীতিমত বিধস্ত রংপুর রাইডার্স। দুই অঙ্কের ঘর পেরিয়েছেন কেবল কাজী নুরুল হাসান সোহান ও আকিফ জাভেদ। সোহান ২৩ রানে আউট হওয়ার পর আকিফের ৩২ রানে রংপুরের পুঁজি কেবল ৮৫। যা এই আসরে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় রান।

এলিমিনেটর ম্যাচে হারলেই বিদায়। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে খুলনা ও রংপুর মাঠে নামে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। দুই দলই একাধিক তারকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। রংপুর আন্দ্রে রাসেল, টিম ডেভিড, জেমস ভিন্সকে উড়িয়ে এনেছে। খুলনা নিয়েছে জেসন হোল্ডার ও শিমরন হেটমায়ারকে। ব্যাটিংয়ে রংপুরের হয়ে নিয়মিত রান করছিলেন ইফতেখার আহমেদ। তাকে না খেলানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে রংপুর যে ভুল করেছে তা বুঝতে বাকি রইল না স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালে।

ভিঞ্চ, ডেভিড ও রাসেল প্রত্যেকেই ফ্লপ। ভিঞ্চ ৭ বলে ১ রানে আউট হওয়ার আসে সৌম্যকে ভুল ডাকে রান আউট করান। অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড নাসুমের বলে ক্যাচ দেন সীমানায়। ৯ বলে তার রান মাত্র ৭। নিয়মিত বিপিএল খেলা রাসেল ৯ বলে ৪ রান করে নেওয়াজের বোল্ড হন।

আরো পড়ুন:

রাসেল, ডেভিড, হেটমায়ারদের নিয়ে এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি খুলনা-রংপুর

পালিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন
রাজশাহীর মালিককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ 

বিদেশীরা যেখানে আড়ালে সেখানে দায়িত্ব নিতে পারেননি স্থানীয়রাও কেউ। টপ ও মিডল অর্ডারে ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেছে রংপুর। মাহেদী, সাইফ উদ্দিনকে উপরে তুলে এনেছিলেন। কিন্তু ১ ও ৮ রানের বেশি করতে পারেনি। সাইফ হাসান ১০ বলে ৪ রানে থেমে যান। সোহান চেষ্টা করেছিলেন। ২৫ বলে ২৩ রান করেছিলেন ২ বাউন্ডারিতে। কিন্তু বিপর্যয়ের দিনে তিনিও ভুল শট খেলতে গিয়ে ফেরেন সাজঘরে। শেষ পর্যন্ত আকিফ জাভেদ তাদের ত্রাতা হয়ে আসেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে ৩২ রান করে যখন আউট হন তখন খুশির আমেজ খুলনা ড্রেসিংরুমে। কেননা প্রথম পরীক্ষায় তারা পাশ।

খুলনার বোলিং ছিল দুর্দান্ত। উইকেট হাই স্কোরিং ছিল না। বল থেমে থেমে আসছিল। ধীর গতির। স্পিনাররা সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েছেন। মিরাজ ও নাসুম পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। মিরাজ ১০ ও নাসুম দিয়েছেন ১৬ রান। এছাড়া নাওয়াজ, হাসান ও মুশফিকের পকেটে গেছে ১টি করে উইকেট। স্কোরবোর্ডে স্বল্প পুঁজি নিয়ে রংপুর ম্যাচটা জমিয়ে তুলতে পারে কিনা সেটাই দেখার।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন হলে অর্ধগলিত লাশ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) নির্মাণাধীন হল থেকে গলায় রশি পেঁচানো এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নির্মাণাধীন হলের ১০ম তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। 

পাবনার পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। মরদেহটি মেঝেতেই পড়েছিল।”

আরো পড়ুন:

সড়কের পাশে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ

কুড়িগ্রামে নদীতে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

তিনি আরো বলেন, “মারা যাওয়া ব্যক্তির গলায় দড়ি পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করার কয়েকদিন হয়ে যাওয়ার পর  ওয়েট বৃদ্ধি পেয়ে দড়ি ছিঁড়ে মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে পড়ে গেছে। এখানো মারা যাওয়া যুবকের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।” 

পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান বলেন, “ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করে যাচ্ছে। একটি স্মার্ট ফোন পাওয়া গেছে, পরবর্তী তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।”

পাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা খবর পেয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। পুলিশ মরদেহ নিয়ে গেছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ