তারকা এনে মহাধস, একশ’ হলো না রংপুরের
Published: 3rd, February 2025 GMT
বিদেশি তারকা ক্রিকেটার এনে শক্তি বাড়িয়েছে রংপুর রাইডার্স। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল, অস্ট্রেলিয়ার টিম ডেভিড ও ইংল্যান্ডের জেমন্স ভিন্সি খেলছেন দলটির হয়ে।তবু এলিমিনেটরে খুলনা টাইগার্সের স্পিনের স্পিন ঘূর্ণিতে মহাধসে পড়ে দলটি। শেষ উইকেটে আকিফ জাভেদ কিছু রান করলেও একশ’ রান করতে পারেনি রংপুর। ১৬.৫ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয়েছে।
রংপুর রাইডার্সকে শেষ চারে তুলতে বড় ভূমিকা রাখেন পাকিস্তানি দুই অলরাউন্ডার খুশদীল শাহ ও ইফতিখার আহমেদ। কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পেয়ে খুলদীল দেশে ফিরেছেন। তারার মেলায় একাদশে সুযোগ হয়নি ইফতিখারের।
টি টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯ রান তুলতে পারে রংপুর। নাসুম আহমেদ দুই ওভার বল করে দুই উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ তার দ্বিতীয় ওভারে এসে উইকেট নিয়েছেন। তার প্রথম ওভারে রান আউট হন সৌম্য সরকার। ষষ্ঠ ওভারে পেস আক্রমণে এসে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। সেখান থেকে ৫০ রানে ৭ ও ৫২ রানে ৯ উইকেট হয়ে যায় রংপুর।
পাকিস্তানি বাঁ-হাতি পেসার আকিফ ১৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে দলকে ওই মহাবিপর্য় থেকে রক্ষা করেন। তিনি চারটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এর আগে রংপুরের ওপেনার সৌম্য সরকার কোন বল না খেলেই শূন্য করে ফিরে যান। ইংলিশ ওপেনার ভিন্সি ৭ বল খেলে ১ রান করে বোলার নাসুমের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন। শেখ মাহেদী ৫ বল খেলে ১ রান করে বোল্ড হন। ১০ বলে ৪ রান করে ক্যাচ দেন সাইফ হাসান। সাইফউদ্দিন ৮ বলে ৮ রান করেন। আন্দ্রে রাসেল ৯ বলে ৪ রান করেন। ২৫ বলে নুরুল হাসানের ২৩ ছিল দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
রংপুরকে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন স্পিনার মেহেদী মিরাজ ও নাসুম আহমেদ। মিরাজ ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান মাহমুদ ও মুশফিক হাসান একটি করে উইকেট দখল করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল উইক ট ন য় ছ ন র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট
সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক।
জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে।