পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন প্রশ্নফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। এরই মাঝে দুর্নীতির মামলা হয়। গত ২৮ জানুয়ারি তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন। আদালত তার উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ দেন।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। দুপুরে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এসময় কাঠগড়ায় ছিলেন আবেদ আলী। একপর্যায়ে একপাশে চলে আসেন তিনি। তার ছেলে সৈয়দ শাহানুর রহমান সৌমিক তার সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। তাকে কাছে টেনে নেন আবেদ আলী। পরে ছেলেকে বুকে টেনে নিয়ে অঝোরে কাঁদেন আবেদ আলী। 

এর কিছুক্ষণ পরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বছর ৮ জুলাই রাজধানীর পল্টন থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে সিআইডির উপপরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরই সৈয়দ আবেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

ঢাকা/মামুন/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই’—শেষ বার্তায় তামিম

যেভাবে ব্যাট করেছেন বোঝার কোনো উপায় ছিল না, কিছুক্ষণ পরই তিনি পাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সংবর্ধনা। নির্ভার থেকে এমন বিস্ফোরক ব্যাটিং একমাত্র তামিম ইকবালকে দিয়েই যেন সম্ভব। ওপেনিংয়ে নেমে ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের ব্যাটিং বড় লক্ষ্যে পৌঁছানোর ভিত গড়ে দেয়। 

ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে বিতর্ক মোড়ানো অবসরের পর ফেরা না ফেরার সুতা ঝুলছিল প্রায় দেড় বছর ধরে। অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার পরই নিশ্চিত হয়ে যায় ইতি হচ্ছে তামিমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। আনুষ্ঠানিক বিবৃতির পর শুক্রবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টাইটেল জয়ের দিন তামিমকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। 

জার্সির স্মারক উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় খান সাহেবের হাতে। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে তামিম যেন কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে যান। ছলছল চোখে যেন ভেসে উঠছিল প্রায় দেড়যুগের ক্যারিয়ার। বাবার কথা স্মরণ করে বলেন, “আমার বাবার ইচ্ছে ছিল, একদিন আমি দেশের হয়ে খেলব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।“ 

বাংলাদেশকে অনেক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়া তামিম শোনালেন ক্রিকেটার হওয়ার পেছনের অনুপ্রেরণার কথা, “বাংলাদেশ যখন শিরোপা জিতল। পুরো বাংলাদেশের উপভোগটা ছিল অসাধারণ। ওই দিনই ঠিক করলাম, আমি ক্রিকেটার হব।”

উপস্থিত দর্শকদেরসহ কোটি ক্রিকেট ভক্তকে দিয়েছেন কড়া বার্তাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে তামিমের জানা, দেশের ভক্তদের বিভাজনের কথা। কেউ সাকিব আল হাসানের ভক্ত সাকিবিয়ান, কেউ মাশরাফি বিন মুর্তজার ভক্ত মাশরাফিয়ান। ভাগ হয়ে নিজেদের মধ্যেই লড়াতেই সময় কেটে যায়। তামিম তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দেশ সবার আগে। 

“তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের সমর্থক। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে। দয়া করে এটা থামান। আমরা যে কারও সমর্থক হতে পারি, কিন্তু সবাই বাংলাদেশি। এটাই আমার শেষ বার্তা।”

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলন কক্ষের দিকে হাটছিলেন তখন। পাশেই চেনা একজনকে দেখে বলে ওঠেন, “সুন্দর বলছি না?’’

ট্রফি জয়ের সঙ্গে বিদায়ী সংবর্ধনা, যেন পূর্ণতা পেলো সবই। এমন আত্মতৃপ্তির দিনে নিজের কথাকে নিজেই সুন্দর বলতেই পারেন! তাতে তৃপ্তি আরো বাড়ে! 

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ