তিতুমীর শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ: সতর্ক অবস্থানে পুলিশ
Published: 3rd, February 2025 GMT
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে গুলশানে বাঁশ ফেলে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে অপ্রতিকর ও বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় কলেজের সামনের সড়কে বাঁশ ফেলে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তিতুমীর কলেজের মূল ফটকের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো আমরণ অনশন করছেন ছয় শিক্ষার্থী। তার সামনে শিক্ষার্থীরা গোল হয়ে সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় তিতুমীর বিশ্বিবদ্যালয় করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে সেখানে দেখা যায়নি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী পরিবহনের গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। এখন আমরা লিংক রোড অবরোধ করেছি। কিছু সময় পর অন্যান্য জায়গাগুলোও অবরোধ করে দেওয়া হবে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো.
শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগে সৃষ্টি হচ্ছে! এমন বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছি। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে সেটি বরদাস্ত করবো না।”
এদিকে, মহাখালী এলাকায় বিজিবির সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। আমতলীতে পুলিশের একটি জলকামানও দেখা গেছে।
দাবি মানা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণাও দেওয়া হয় তখন। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে 'শাটডাউন তিতুমীর' কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দোলনকারীরা এর আগে ৭ জানুয়ারি প্রধান ফটকে 'তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়' লেখা ব্যানার টানিয়ে দেন।
একই দাবিতে গত ১৮ নভেম্বর মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সতর ক অবস থ ন ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ১৭ এপ্রিল সমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
গাজায় ইসরায়েলের চলমান নৃশংস গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সঙ্গে অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চ গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে।
আজ বুধবার দুপুরে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় এ কথা বলা হয়। পরে গণতন্ত্র মঞ্চ এ নিয়ে গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে গাজা খালি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবাসন তৈরির পাঁয়তারাকে বেসামাল আগ্রাসী অপতৎপরতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন ও সংহতিও ব্যক্ত করা হয়।
সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের স্থবিরতা ও অকার্যকারিতায় সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তার ঘটছে, মব–সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে। জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে বলেও সভায় বলা হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের ওই সভার প্রস্তাবে বলা হয়, সামাজিক নৈরাজ্যের এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিনিয়োগসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি কে এম জাবের। নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রমুখ।
নতুন সমন্বয়ক
আগামীকাল ১০ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য গণতন্ত্র মঞ্চের নতুন সমন্বয়কের দায়িত্বপালন করবেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম। মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আজকের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।