হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। 

আটককৃতরা হলেন- মাধবপুর উপজেলার রিয়াজনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে শামসুল হক উজ্জ্বল (৩৫), সাহেব আলির ছেলে আরশ আলি (৪০), তাজপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে মারাজ মিয়া (২৫), ফতেহপুর গ্রামের মৃত বসু মিয়ার ছেলে ওলি মিয়া (৩০) ও ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে কামাল মিয়া (৪০)। তাদের কাছ থেকে ১৪ পিস ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। 

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন আর্মি ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন ইমাম হোসাইন।

এর আগে ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ল্যান্স কর্পোরাল মো.

সাইদুল ইসলামের তথ্যের ভিত্তিতে ১৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মাধবপুর শাহাজীবাজার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র আর্মি ক্যাম্পের আওতাধীন মাধবপুরের তাজপুর এলাকায় ক্যাপ্টেন ইমাম হোসাইনের নেতৃত্বে চিহ্নিত মাদক কারবারির বাড়িতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আটককৃতদেরকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ধবপ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ধরলো জনতা, ছাড়লো পুলিশ! 

বন্দরে ড্রেজার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি শাওন (৩২)কে স্থানীয় জনতা  আটক করে পুলিশে সোর্পদ করার পরও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার  অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

জনতা কর্তৃক আটককৃত মামলার আসামিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল।  বন্দর থানা পুলিশের এ রকম কর্মকান্ডের জন্য র্তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গনমাধ্যমের কাছে এসব কথা জানিয়েছে মামলার বাদিনী সিনথিয়াসহ তার পরিবার।

জনতা কর্তৃক আটককৃত হামলাকারি শাওন বন্দর থানার নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানার চৌরাপাড়া এলাকা থেকে ওই হামলাকারিকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে স্থানীয় জনতা।

উল্লেখ্য, বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকার মৃত সামছুজ্জামান ওরফে বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও বাদিনী স্বামী  মেহফুজজ্জামান সাদ দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। উল্লেখিত বিবাদীগন বাদিনীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা।  

বিবাদীদের সহিত বাদিনী স্বামীর ঘটনার পূর্ব হইতে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। গত সোমবার (২০ জানুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাদিনী স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ (৩০) কাজশেষে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ফেরার পথে রাত অনুমান সাড়ে ১২টায় সময় বন্দর থানাধীন কাইতাখালি সিকদার বাড়ির মোড়ে পৌছামাত্র পূর্ব হইতে ঘটনাস্থলে ওৎপেতে থাকা বন্দর থানার উত্তর পাড়া লুয়ারপুল এলাকার মৃত ফকির সেক্রেটারী ছেলে শাহ-নেওয়াজ ওরফে শাহানাজ, নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়া ইকবাল নবীগঞ্জ কদমতলী এলাকার আলমগীরসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাদিনী স্বামী চলার পথ গতিরোধ করে উল্লেখিত বিবাদীগন অতর্কিতভাবে মারপিট শুরু করে। 

সন্ত্রাসী শাহনেওয়াজ  তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর বুকের ডান পাশে ঘাই মারিয়া মারাত্বক কাটা রক্তাক্ত ছিদ্রযুক্ত জখম করে। ইকবাল বিবাদী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর মাথায় ঘাই মারিলে ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করায় ডান হাতের কনুই এর নিচে গুরুত্বর রগ কাটা রক্তাক্ত জখম করে। 

৩নং আসামী তার হাতে থাকা সুইজ গিয়ার দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামী মেহফুজজ্জামান সাদ এর ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশে ঘাই মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। অজ্ঞাত আসামীরা  লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করিয়া আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা রক্তজমাট জখম করে। 

এ ব্যাপারে বন্দর থানার এসআই ফারুক হোসেনের যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।  
  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে লিফলেট বিতরণ করায় আওয়ামীলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক
  • বন্দরে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে ধরলো জনতা, ছাড়লো পুলিশ!