ভোটাধিকার হারিয়ে যাওয়ার কারণেই গণঅভ্যুত্থানের অবতারণা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, এই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য। যেসব কারণে জুলাই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের অবতারণা হয়; তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভোটের অধিকার হারিয়ে যাওয়া। বর্তমান কমিশন একটি ভঙ্গুর নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। অপরপাশে রয়েছে সন্তানদের রক্ত। কাজেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই কমিশন দায়বদ্ধ। আর সে লক্ষ্যে ভোটার তালিকাও হালনাগাদ করার কাজ চলছে।

আজ সোমবার সকালে রাজশাহীতে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

এর আগে তিনি রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও এতদিন যারা ভোট দিতে পারেননি। তারাও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। কাজেই কোনো নাগরিক উপযুক্ত হওয়ার পরও ঐচ্ছিক কাগজপত্র বা সামান্য জটিলতার কারণেও যেন ভোটার হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের বাধার মুখে আবারও সড়কে অবস্থান গণঅভ্যুত্থানে আহতদের

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যেতে পুলিশের বাধা পেয়ে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা।

সন্ধ্যায় মিরপুর সড়ক ছেড়ে বিক্ষোভরত ব্যক্তিরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রা করেন। সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছান তারা। সেখানে পুলিশের ব্যারিকেড দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ওই জায়গায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।

এ সময় আন্দোলনকারীদের একজন আমিনুল ইসলাম ইমন সাংবাদিকদের জানান, গতকাল রাত থেকে তারা সড়কে অবস্থান করলেও সরকারের দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি তাদের সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, ন্যূনতম সহানুভূতিও দেখাননি। অথচ জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহত মানুষদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে।

এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় আগারগাঁও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (নিটোর বা পঙ্গু হাসপাতাল) এবং জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন আহতরা। সেখানে সারা রাত থেকে পরে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্যামলী মিরপুর রোড অবরোধ করে স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবি জানান জুলাই আন্দোলনে আহতরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণঅভ্যুত্থানকারীদের বিক্ষোভ ও সরকারের মনোযোগ
  • ‘জুলাই ঘোষণা’ ও ফিরে দেখা রাজনীতি
  • বইমেলায় আফরোজা খাতুনের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’
  • বিনিয়োগকারীদের দাবি নিয়ে উপদেষ্টরা খেলছেন: ফুয়াদ
  • ন্যূনতম সংস্কার ছাড়া ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে না: জামায়াত আমির
  • সবাইকে খুশি করতে যাওয়ার বিপদ সরকার জানে?
  • যমুনার দিকে যাত্রা করা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পুলিশের বাধা
  • পুলিশের বাধার মুখে আবারও সড়কে অবস্থান গণঅভ্যুত্থানে আহতদের
  • প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাচ্ছেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা