হবিগঞ্জে মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, ব্যবসায়ীকে হত্যা করে লুটপাট
Published: 3rd, February 2025 GMT
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় গভীর রাতে ডাকাতদলের হামলায় মহসিন মিয়া (৩৮) নামে এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। সোমবার ভোররাতে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রাফি স মিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মহসিন মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন রোডের গ্রামীণ টেলিকম এন্ড ইলেকট্রনিক্স-এর মালিক ছিলেন। তিনি উপজেলার নিশাপট গ্রামের মরহুম হাজি আঃ রহিম মাস্টারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান বন্ধ করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইলিয়াস মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন মহসিন মিয়া। পথে দেউন্দি ক্রস রোড এলাকায় গিয়ে তারা জানতে পারেন, রাফি স মিলে ডাকাতরা গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে ডাকাতি করছে।
তারা সেখানে গেলে ডাকাতদল তাদেরও আটক করে, মোটরসাইকেল, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় মহসিন মিয়া পালানোর চেষ্টা করলে ডাকাতরা তাকে ধাওয়া করে।
এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মহসিন মিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় পাশের একটি মাঠে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমানসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে এবং জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মহস ন ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মকর্তার বেতন বন্ধ করে দিল কুবি প্রশাসন
দীর্ঘ ছয় মাস ধরে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সেকশন অফিসার মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েরর রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মরত এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, “গত ৫ আগস্টের পরে তিনি আর অফিসে আসেননি। গত জানুয়ারি মাস থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়েছে।”
গত ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতির জবাব চেয়ে গত ২৩ অক্টোবর নোটিশ দেওয়া হয়। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মকর্তা মাজেদ জবাব না দিলে গত ৩ নভেম্বর আবারো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেটারও কোন জবাব পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন, আহ্বায়ক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান, সদস্য ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ এবং সদস্য সচিব অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক এস. এম. মাহমুদুল হক।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী