বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত শনিবার ভোরে হাসপাতালে ভর্তি হন দেশের । প্রাথমিকভাবে আইসিইউতে নেওয়া হলেও অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাকে কেবিনে রাখা হয়েছে।

ফরিদা পারভীনের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে গণমাধ্যমে এমনটাই জানালেন শিল্পীর মেয়ে জিহান ফারিহা।  তিনি জানান, ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থা এখন বেশ ভালো। দ্রুতই তাকে বাসায় নেওয়া হবে। তার কথায়, ‘হাসপাতালে ভর্তির সময়ই বাড়তি সতর্কতার জন্য আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এখন তেমন কোনো জটিলতা নেই।’

এর আগে ফরিদা পারভীনের ছেলে  ইমাম জাফর নুমানি ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় লিখেছিলেন, ‘কয়েকটি শারীরিক জটিলতা নিয়ে আমার আম্মা ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আম্মা অনেক দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। এ ছাড়া আম্মার ফুসফুসে খানিকটা পানি জমেছে এবং কিছুটা নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে আলহামদুলিল্লাহ অবস্থার অনেকটাই উন্নতি লক্ষ করা গেছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে পর্যবেক্ষণরত অবস্থায় আছেন। আমরা ছেলে-মেয়েরা সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে অবস্থান করছি।’

জানা গেছে, বর্তমানে বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আছেন এই গায়িকা। আর তার চিকিৎসার দায়িত্ব আছেন ডা.

আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল–যুবদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ

দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করে মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজন নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। তবে ইউপি নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর একটি মামলায় সাত দিন কারাগারেও ছিলেন। এরপর জামিনে বেরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে ইউএনও কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ হওয়ার একটু আগেই বাইরে বের হন আনোয়ার হোসেন। উপজেলা চত্বরে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান সর্দার, ছাত্রদল নেতা মেজবাহুল, সাব্বির হোসেনসহ আরও কয়েকজন। তাঁদের হাতে মারধরের শিকার হন আনোয়ার হোসেন। একই সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলটিও সেখানে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এর আগেও আমার ওপরে হামলা করে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল ইমরান ও মেজবাহ। ৫ আগস্টের পর থেকে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন সময় আটকে আমাকে হয়রানি করে আসছে তারা। তবে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয় পেয়েছিলাম।’

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা–কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে বালুমহাল দখল নিয়ে আনোয়ার হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে সাব্বিরের দ্বন্দ্ব হয়। এই হামলার সঙ্গে ওই বিরোধের জের থাকতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম বলেন, দলের কেউ যদি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন এবং তদন্তে তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ