ফরিদপুরের সালথায় সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের বাসায় ঢুকে তার মায়ের গলায় রামদা ঠেকিয়ে একটি সোনার চেইন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাইফুল ইসলাম দৈনিক সমকালের সালথা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত এবং সালথা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

সোমবার ভোরে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামে সাইফুলের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়িতে সেমিপাকা মোট চারটি ঘর আছে। এই ঘরগুলোতে আমরা দুই ভাই বাবা-মাতে নিয়ে বসবাস করি। আমার ছোটভাই ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করায় ঘরটি ফাঁকা থাকে। মা সেই ঘরে ঘুমিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে মা যে ঘরে ছিলেন সেই ঘরের দরজার গ্রিলের ছিটকানি খুলে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ঘরের ভেতর ঢোকেন। মা শব্দ পেয়ে জেগে উঠলে দুই দুর্বৃত্তের মধ্যে একজন মায়ের হাত ধরে গলায় রামদা ঠেকিয়ে কোনোরকম সাড়াশব্দ করলে কুপিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে তারা ঘরের ভিতরের আলমারি থেকে নগদ পঁচিশ হাজার টাকা ও একটি সোনার চেইন নিয়ে যায়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আতাউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের জের, মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়াল দুই এলাকার মানুষ

মা-মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার জের ধরে কু‌ড়িগ্রা‌মের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দুই এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্প‌তিবার ক‌য়েক দফার এই সংঘ‌র্ষে উভয় প‌ক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের এক নারী তাঁর মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু এলাকায় ঘুরতে যান। এ সময় সুন্দরগঞ্জের হ‌রিপুর ইউনিয়‌নের শহ‌রের মোড় এলাকার কয়েকজন কিশোর গোপনে তাঁদের ছবি তোলেন ও উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। মা–মেয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কিশোরেরা তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বিষয়টি চোখে পড়লে প্রতিবাদ জানান চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার সাজু ও মোতালেব মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। এরপর কয়েকজন তাঁদের মারধর করেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) ভুট্টাখেত দেখতে গেলে শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে আলমগীরকে তাঁর পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন। তাঁকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওই ঘটনার পর দুই পক্ষের মানুষ মাইকিং করে লোকজন ডাকে। এরপর দুই পক্ষের শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুপক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। খবর পে‌য়ে কু‌ড়িগ্রাম থে‌কে সেনাবা‌হিনীর এক‌টি দল ঘটনাস্থ‌লে গিয়ে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রমনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আশেক বলেন, গোপনে মা-মেয়ের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন থেকে দুই এলাকার মানুষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। আজ চিলমারীর একজন কৃষক জমিতে কাজ করতে গেলে সুন্দরগঞ্জ শহ‌রের মোড় এলাকার কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করে। ওই ঘটনায় দুই এলাকার মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

চিলমারী ম‌ডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, উভয় এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ