মহাখালী-গুলশান সড়ক অবরোধ তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের
Published: 3rd, February 2025 GMT
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটের দিকে কলেজ গেটের সামনে মহাখালী-গুলশান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তায় বাঁশ ফেলে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিচ্ছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী জানান, সকাল ১১টা থেকে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিলেও কলেজ ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজার কারণে কর্মসূচিতে দেরিতে শুরু হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তা অবরোধ করে রাখব। আরও শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে আমরা মহাখালী মোড়ে যাব।
এদিকে দাবি আদায়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ দিনের মতো তিতুমীর কলেজ গেটের সামনে অনশন করছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত ত ম র কল জ সড়ক অবর ধ ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত এসেছে হৃদয় থেকে: ট্রাম্প
শুল্ক নীতি কার্যকর হওয়ার দিনই তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেভাবে চীন মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক এবং তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যে শুল্কের হার বাড়িয়ে যাচ্ছিল, তাতে পৃথিবী নতুন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। এর জেরে শেয়ারবাজারে ধস নামে, ডলারের বিনিময় হার কমে যায়, তেলের দাম চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। সামগ্রিকভাবে বাজার অর্থনীতিতে রীতিমতো কাঁপন শুরু হয়ে যায়।
অথচ শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও এই শুল্কনীতি শিথিলের কোনও লক্ষণ দেখায়নি তার প্রশাসন। ট্রাম্পের দাবি, হৃদয়ের কথা শুনে হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। খবর পলিটিকোর
বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই শুল্কের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছি। বোধহয় আজ সকালে সব আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তখন কোনও আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শের সময় ছিল না। কেবল নিজের অন্তরের কথা শুনে যেটি সঠিক মনে হয়েছে, সেটাই করেছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ও অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সঙ্গে মিলে ট্রাম্প এই পোস্ট লিখেছিলেন বলে জানান লুটনিক। তবে অনেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতার কাছেই এই ঘোষণা ছিল বিস্ময়কর।
শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর শেয়ারবাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে দেরি হয়নি। তবে তার আকস্মিক স্থগিত সিদ্ধান্তে হাওয়া বদলেও সময় লাগে না। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বাজারমূল্য বুধবারই ১ ট্রিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পায়।
স্থগিতাদেশের পর ট্রাম্প প্রশাসনের হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সবার আগে হাজির হয়েছেন বেসেন্ট। তিনি বলেন, বাজারের অস্থিরতার কারণে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে চুক্তি করার ইচ্ছা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেছেন, প্রতিটি সমস্যার সমাধান হবে আলাদা। তাই, এ কাজে বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। পুরো প্রক্রিয়াতে প্রেসিডেন্ট নিজে যুক্ত থাকতে চান বলেই ৯০ দিনের বিরতি দেওয়া হয়েছে।