Risingbd:
2025-02-05@09:58:47 GMT

‘কেন আমার সাথে এ অবিচার’

Published: 3rd, February 2025 GMT

‘কেন আমার সাথে এ অবিচার’

“আমি কখনো রাজনীতি করিনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছি। এই আদালতপাড়াতেও সাংবাদিকতা করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নিউজ করে মামলা খেয়েছি। দুই মাস জেল খেটেছি। অথচ, এখন আমাকে শ্রমিক লীগের নেতা বানিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। শ্বশুরের সাথে বিরোধ থাকায় আমাকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কেন আমার সাথে এ অবিচার?”

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে এসব কথা বলেছেন গোলাম সারোয়ার পিন্টু নামের এক ব্যক্তি। 

গোলাম সারোয়ার পিন্টু রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলার আসামি। মামলায় তাকে বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে।

পিন্টুর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ঢাকা মেট্রো উত্তরের পরিদর্শক রিদুয়ানুল হক। শুনানিকালে তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। 

শুনানি চলাকালে পিন্টু আদালতকে বলেন, “আমি গরিব মানুষ। আমার তিন সন্তান। তাদের দেখার কেউ নেই। এসব মামলার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই৷ সম্পৃক্ততা থাকলে আপনি যে সাজা দেবেন, মাথা পেতে নেব।” পরে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই বাড্ডার প্রগতি সরণী এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন অটোরিকশার চালক হাফিজুল শিকদার (২৯)। এ সময় আন্দোলন দমনের জন্য ছোঁড়া গুলি হাফিজুলের বাম পাঁজর দিয়ে ঢুকে ডান বগল দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট তার পরিবার বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করে।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মকর্তার বেতন বন্ধ করে দিল কুবি প্রশাসন 

দীর্ঘ ছয় মাস ধরে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সেকশন অফিসার মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েরর রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মরত এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, “গত ৫ আগস্টের পরে তিনি আর অফিসে আসেননি। গত জানুয়ারি মাস থেকে তার বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়েছে।”

গত ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতির জবাব চেয়ে গত ২৩ অক্টোবর নোটিশ দেওয়া হয়। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মকর্তা মাজেদ জবাব না দিলে গত ৩ নভেম্বর আবারো কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেটারও কোন জবাব পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন, আহ্বায়ক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান, সদস্য ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ এবং সদস্য সচিব অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক এস. এম. মাহমুদুল হক। 

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ