২৩৫টি সিসি ক্যামেরা ও বাইনোকোলার দিয়ে মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান। তিনি বলেন, গতকাল মোনাজাতের সময় পাবলিকের ড্রোনের ধাক্কায় বেলুন ফেটে শব্দ হয়ে ইজতেমা মাঠে আতঙ্ক তৈরি হয়। তাই, আজ ড্রোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের দুই কিলোমিটারের মধ্যে অনুমতি ছাড়া কেউ ড্রোন উড়াতে পারবে না।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বিদেশি খিত্তার পাশে স্থাপিত জিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং করে জিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। টঙ্গীর তুরাগ তী‌রে সুরা‌য়ে নেজামের বিশ্ব ইজ‌তেমার দ্বিতীয় ধাপের প্রথম পর্ব আজ শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

জিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথম ধাপে মোনাজাত চলাকালে পাবলিকের ড্রোনের ধাক্কায় বেলুন ফেটে শব্দ হ‌য়ে‌ছে আতঙ্ক তৈরি হয়, ব্যপারটি নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। ফল এবার ড্রোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বাইনোকুলার দিয়েও মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপের ইজতেমা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হল। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি আগের মতই আছে।

প্রথম ধাপে সহযোগিতা করার জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি দ্বিতীয় ধাপেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। এ সময় পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারসহ উপকমিশনাররা এবং সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও আয়োজক কমিটির পক্ষে শুরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল রোববার আখেরী মোনাজাতের সময় ড্রোন আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে শতাধিক মুসল্লি আহত হন। এই ঘটনার পর সেখানে আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে ঘটনার ২৬ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ ড্রোন উদ্ধার করে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

শুরায়ে নেজামের অধীনে গতকাল সকাল ৯টা ১১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৪ মিনিটের  আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। আজ সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার কথা র‌য়ে‌ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রথম ধ প আতঙ ক ইজত ম জ এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসির পরীক্ষা হলে বই ও মোবাইলফোন, ৯ শিক্ষককে অব্যাহতি

বাগেরহাটে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কক্ষে বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৯ শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১০১, ১১০ ও ২১০ নম্বর কক্ষে টেবিলের উপরে ও নিচে ব্যাগ, বই, খাতা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. শহিদুল ইসলামের সই করা আদেশে ৯ শিক্ষককে ২০২৫ ও ২০২৬ সালের জন্য পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রটিতে ১১টি বিদ্যালয়ের ৪৭৪ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৯ শিক্ষক হলেন- চিপা বারইখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ ও নিমাই চন্দ্র রায়। জিউধরা সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, তাপস কুমার মজুমদার, শহিদুল ইসলাম ও সোহেলী পারভিন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলি দেবনাথ, নাসির উদ্দিন খান ও অম্বিকাচরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শফরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৩টি কক্ষে বই ও মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ওই কক্ষগুলোতে দায়িত্বে থাকা ৯ শিক্ষককে ২ বছরের জন্য পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ