জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী অনিককে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম ও সাবেক কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাসের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।

এ সময় আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হয়ে মহানগর দায়রা জজ কোর্টের সামনে আসলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অতর্কিত গুলিতে আহত হন অনিক। এদিন অনিককে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২১ নভেম্বর ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। এই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষককেও আসামি করা হয়। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সাবেক নেতারা আছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মনে হচ্ছে মাঠ প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না, এ অবস্থায় নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম 

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘বর্তমানে যে মাঠ প্রশাসন রয়েছে, সেই মাঠ প্রশাসন মনে হচ্ছে নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চলছে এবং সেসব জায়গায় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির পক্ষে কাজ করছে, এ ধরনের প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

আজ বুধবার বিকেলে ঢাকায় সফররত মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে আমরা যে প্রস্তাবনাগুলো সংস্কার কমিশনে দিয়েছি, সেগুলোর কথা বলেছি। আমরা বলেছি আমাদের তিনটি দাবির কথা—সংস্কার, বিচার ও গণপরিষদ নির্বাচন। আমরা বলেছি যে আমরা এখানে নূন্যতম সংস্কার নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারের জন্য আমরা কাজ করছি। এই পরিবর্তনগুলো ছাড়া নির্বাচন হলে, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সেই নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি প্রশাসন বিএনপির পক্ষ অবলম্বন করছে অনেক জায়গায়। মাঠপর্যায়ে যেসব জায়গায় চাঁদাবাজি চলছে, সেই জায়গায়ও প্রশাসন আসলে নিরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা বলেছি, এ ধরনের প্রশাসন যদি থাকে তাহলে এর অধীনে নির্বাচন করাটা সম্ভব নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র, পুলিশ নিশ্চিত করতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ