ফের রিমান্ডে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হকসহ ৬ জন
Published: 3rd, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন এলাকায় অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৬ জনকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় আসামিদের কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির ঢাকা মেট্টোর উত্তরের পরিদর্শক রিদুয়ানুল হক ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডে পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই মামলায় বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা.
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গত ২০ জুলাই বাড্ডার প্রগতি সরণি এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদার (২৯)। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনের জন্য আসামিদের ছোড়া গুলি হাফিজুলের বাম পাজরে লেগে ডান বোগল দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট মামলার বাড্ডা থানায় মামলাটি হয়।
বিস্তারিত আসছে...
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘মানবিক করিডর’ প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
জাতিসংঘ প্রস্তাবিত বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে সহায়তার জন্য ‘মানবিক করিডর’ প্রদানের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্কতা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর ভূরাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের সংঘাত এড়িয়ে যেতে হলে মানবিক করিডর প্রদানের বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তব্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করতে হবে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব কোন শর্তে অন্তর্বর্তী সরকার বিবেচনা করেছে, প্রশ্ন তুলে বিবৃতিতে বলা হয়, এ শর্ত সম্পর্কে জনগণকে জানাতে হবে। জনগণকে অবহিত না করে জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল জানায়, রাখাইনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দৃঢ় অঙ্গীকার আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।