বাষট্টি বছর বয়সী বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেন পরিবারের ৬ সদস্যসহ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই সৈকত ভ্রমণ করা হলো না তার। সোমবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর বাংলাবাজার নামক স্থানে ঢাকামুখি লেনে ডাম্প ট্রাকের পিছনে হায়েস মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় আনোয়ার। আহত হন তার পরিবারের অপর ৬ সদস্য।

নিহত আনোয়ার হোসেনের নিজ বাড়ি নারায়নগঞ্জ হলেও পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায়। তার বাবার নাম কালাই মিয়া। 

জানা যায়, রোববার রাতে ঢাকা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেন বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেন। সোমবার সকালে তাদের বহণকারী মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার সম্মূখীন। ঘন কুয়াশায় মাইক্রোবাসটি বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে এই দুর্ঘটনা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটির সামনে অংশ। সেটি উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা। গাড়িতে থাকা আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, নিহতের সুরাতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ রমণ সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন দ র ঘটন পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

সালমান এফ রহমানের বিদেশের সম্পদ জব্দ, কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক, শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের নামে লন্ডনে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিদেশি দুই ব্যাংক হিসাব ও কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। 

সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেছিলেন।

আবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানকালে সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ অন্যান্যদের নামে ব্যাংক হিসাবসমূহের তথ্য পাওয়া যায়। 

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা এসব ব্যাংক হিসাবসমূহ হস্তান্তর/স্থানান্তর/রূপান্তর করার চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে, অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। 

এজন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সালমান এফ রহমানের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য ও তার সহযোগীদের নামে থাকা ৩৭২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত। এসব হিসাবে সর্বমোট ৫৫ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১১৭ টাকা রয়েছে। 

গত বছরের ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ