জুনেই ‘টু-টায়ার’ টেস্টের বাস্তবায়ন !
Published: 3rd, February 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালের মধ্য দিয়ে মৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান ফরম্যাটের। অনেক সমালোচনা সত্ত্বেও টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে (টু-টায়ার) ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে আইসিসি। আগামী জুনে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই দ্বিস্তর কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’।
সম্প্রতি আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ ও ইসিবি (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন বৈঠকে বসেছিলেন। থম্পসন আবার আইসিসির স্ট্র্যাটেজিক গ্রোথ কমিটির প্রধান। বৈঠকে তারা দু’জন টেস্ট ক্রিকেটকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার লক্ষ্যে দ্বিস্তর কাঠামো চূড়ান্ত করেছেন। ইংল্যান্ডের গণমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’-এর কাছে বিষয়টি স্বীকারও করেছেন থম্পসন।
আগামী ২০ জুন থেকে হেডিংলিতে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সাইকেল শুরু হচ্ছে। দ্বিস্তর চালুর পক্ষে তাঁর যুক্তি, ‘যতটা কার্যকর হওয়া উচিত ছিল, টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান কাঠামোতেই সেটা হয়নি। তাই টেস্টে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ন্যায্যতা খুঁজতে হচ্ছে আমাদের। আমাদের হাতে আরও পাঁচ মাসের মতো সময় আছে। আশা করছি, টেস্ট ক্রিকেটকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে পারব। এই পরিবর্তনের ফলে সেরা দলগুলোর ফাইনালে পৌঁছার নিশ্চয়তার পাশাপাশি প্রকৃত অর্থে টেস্ট খেলতে আগ্রহী জাতিগুলোকে উৎসাহিত করবে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান মডেলের মূল সমালোচনা হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব। দুই বছরের সাইকেলে এই মডেলেও সব দেশ সব দেশের বিপক্ষে খেলে না। আর বেশি বেশি দুই টেস্টের সিরিজের কারণে র্যাঙ্কিংও উল্টাপাল্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এসব যুক্তি তুলে ধরে দ্বিস্তর চালুর কথা বলা হচ্ছে। প্রথম স্তরে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা থাকবে। দ্বিতীয় স্তরে উইন্ডিজ, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড থাকবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে
ভাসানচরকে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রেসক্লাবের সামনে ‘হাতিয়ার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ’–এর ব্যানারে একটি মানববন্ধন হয়।
আয়োজকদের দাবি, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের অনুমোদনক্রমে ২০১৬-১৭ সালের দিয়ারা জরিপে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সভাপতি জাহেদুল আলম বলেন, ২০১৬-১৭ সালেই নবসৃষ্ট ভাসানচর অংশটির (ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা এবং কেউয়ারচর) দিয়ারা জরিপ শেষ করে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর। এর ফলাফল ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি গেজেটে ভাসানচর অংশের ছয়টি মৌজা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাহেদুল আলম আরও বলেন, ২০১৮ সালে সন্দ্বীপের জনৈক অধিবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরবর্তী সময়ে সব কার্যক্রম শেষ করে ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ভাসানচর অংশের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, বর্ণিত ছয়টি মৌজা নিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের অধীন ভাসানচর থানা গঠিত হয়। ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এর গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সভাপতির দাবি, ‘দীর্ঘদিন পর দূরভিসন্দিমূলকভাবে চলতি বছরের ২৩ মার্চ জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস চট্টগ্রাম, নোয়াখালী (হাতিয়া) ও চট্টগ্রাম (সন্দ্বীপ) অংশের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। একই দিন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় (রাজস্ব শাখা) আন্তজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গঠিত কমিটির প্রথম সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা হয়। এটা সুস্পষ্ট প্রশাসনিক ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করছি।’
জাহেদুল আলম বলেন, ‘জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ত্রুটিপূর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট। একটি কুচক্রী মহল ওই অঞ্চলের শান্তি ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াসে ভাসানচরকে একটি ইস্যু হিসেবে সামনে এনেছে, যা অনভিপ্রেত। এ বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক শিল্পবিষয়ক সম্পাদক কারিমুল হাই নাঈম, হাতিয়া দ্বীপ সমিতির সাবেক সভাপতি হেদায়েত হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ, নোয়াখালী জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি শাহ মিজানুল হক মামুন, অ্যাডভোকেট শাহ মো. মাহফুজুল হক প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।