মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীবাজার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ঢাকার পশ্চিম ভাসানটেক এলাকার মৃত হাসেম খাঁর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৩৭) ও নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকার মান্নান বেপারীর ছেলে মানিক (৩৯)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোররাতে পিকআপযোগে ঢাকার দিকে আসছিলেন বাচ্চু ও মানিক। পিকআপটি মুন্সীবাজার নামক স্থানে পৌঁছালে অজ্ঞাত গাড়ি পেছন থেকে ধাক্কা দিলে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাচ্চু মারা যান। হাইওয়ে পুলিশ মানিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

মেলা থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় তিন বন্ধু নিহত

রাজধানীতে মাইক্রোবাসচাপায় নারী নিহত

শিবচর হাইওয়ে থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক মো.

মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘দুই জনের মরদেহ থানায় রয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/বেলাল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার সেই শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে: ডেপুটি প্রেস সচিব

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। চিকিৎসকরা আশা করছেন, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে।

এর আগে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির ফুসফুসে বাতাস জমে যাওয়ার কারণে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং বুকে টিউব বসানো হয়েছে। অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে শিশুটির মস্তিষ্কেও ক্ষতি হয়েছে।

শিশুটির মা জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতালে শিশুটির শয্যাপাশে রয়েছেন, তবে মেয়েটির কোনো নড়াচড়া নেই। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তাকে সুস্থ করার জন্য।

রবিবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শিশুটিকে দেখতে সিএমএইচে যান এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দোষীরা কোনোভাবেই ছাড় পাবে না।

ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা আদালত চত্বরের সামনে রবিবার বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে আসামিদের আদালতে হাজির এবং রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, বোনের স্বামী, ভাশুর এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ