Samakal:
2025-03-09@23:25:00 GMT

সাবিনাদের কথা শুনল বাফুফে

Published: 3rd, February 2025 GMT

সাবিনাদের কথা শুনল বাফুফে

বিশেষ কমিটির প্রধান ও বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতি মো. ইমরুল হাসান ভবনে পা রাখেন সন্ধ্যায়। এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যাবলি। রোববার কোচ পিটার বাটলারের ইস্যুতে জাতীয় নারী ফুটবলারদের বিদ্রোহের সমাধানে গঠিত বিশেষ কমিটির মুখোমুখি হয়েছেন সাবিনা খাতুনরা। 

গতকাল একে একে বিশেষ কমিটির কাছে পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে যাওয়ার নিজেদের যুক্তিগুলো তুলে ধরেন বিদ্রোহী ১৮ নারী ফুটবলার। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তাদের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন কমিটির সদস্যরা। তাদের দেওয়া বক্তব্যগুলো রেকর্ডও করা হয়। মেয়েদের পর কোচিং স্টাফ ও নারী উইংকেও ডাকবে বাফুফের বিশেষ এই কমিটি। সবার কথা শোনার পর সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তাদের রিপোর্ট উপস্থাপন করবে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে। এর পরই আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

শুরুতে বাটলারের অধীনে হাতেগোনা কয়েকজন নারী ফুটবলার অনুশীলন করেন। সেখানে সিনিয়ররা ছিলেন না। দিন দিন অনুশীলনে ফুটবলারের সংখ্যাও বাড়ছে। যেমন শনিবার ১৩ ফুটবলার অনুশীলন করেছিলেন। রোববার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরও দু’জন। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩১ ফুটবলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাটলারের অধীনে অনুশীলন করেছেন ১৫ জন। 

সোমবার সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। কারণ বাফুফে ক্যাম্পে থাকা মেয়েরা সাবিনা-সানজিদাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেননি। বাটলারের বিরুদ্ধে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় মেয়েদের সমালোচনা করতে দেখা গেছে ফুটবল-সংশ্লিষ্টদের। সবকিছু মিলিয়ে গত বছরের অক্টোবরে সাফ জেতার পর মেয়েদের নিয়ে যে উন্মাদনা ছিল দেশের ফুটবলে, সেটা পাল্টে গিয়ে এখন চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।

তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।

হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।        

সম্পর্কিত নিবন্ধ