ওল্ড ট্র্যাফোর্ড যেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য দুর্ভাগ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। চলতি মৌসুমে নিজেদের মাঠে একের পর এক হোঁচট খাচ্ছে রেড ডেভিলসরা। রোববার প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছে তারা।  

টানা চতুর্থ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে ক্রিস্টাল প্যালেস। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকদের রক্ষণে চাপ তৈরি করে সফরকারীরা।  

অবশেষে ৬৪ মিনিটে প্যালেসের গোলের খাতা খুলেন জ্য ফিলিপ্পে মাতেতা। তার প্রথম শট ক্রসবারে লেগে ফিরলেও ফিরতি বলেই লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এরপর সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ইউনাইটেড, কিন্তু সফল হতে পারেনি। উল্টো ৮৯ মিনিটে আবারও গোল হজম করে রুবেন আমোরিমের দল। নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মাতেতা, নিশ্চিত করেন প্যালেসের দাপুটে জয়।  

এই হারে ২৪ ম্যাচে ১১তম পরাজয় দেখলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফলে তারা নেমে গেছে ১৩তম স্থানে, আর প্যালেস উঠে এসেছে ১২ নম্বরে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণে সভা অনুষ্ঠিত

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে ভূমির স্থান পুনঃবিবেচনার লক্ষ্যে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডমিতে এ অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ।

সভায় মতামত ব্যক্ত করেন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল হাই, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবুল ফয়েজ মো. খায়রুল ইসলাম, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ জাদিল উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দলোনের (বাপা) হবিগঞ্জ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল।

আরো মতামত দেন, বিএনপির হবিগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক হাজী এনামুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হবিগঞ্জ জেলা আমীর কাজী মাওলানা মখলিছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী মহসিন আহমদ, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামসুল হুদা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, শোয়েব চৌধুরী প্রমুখ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ স্কেচ ম্যাপ ও গুগল ম্যাপের সহায়তায় সম্ভাব্য সাতটি স্থানের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উপস্থাপন করেন। এরপর উপস্থিত অংশীজনরা সম্ভাব্য স্থানগুলো নিয়ে মতামত প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক ড. মো, ফরিদুর রহমান বলেন, “অংশীজনদের মতামত বিবেচনায় নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভূমি চূড়ান্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে হবিগঞ্জবাসীর মতামতের প্রাধান্য যেমন দেওয়া হবে, বিশেষজ্ঞদের মতামতের মাধ্যমে একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাতে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে তেমন ভূমিই নির্বাচন করা হবে।”

ঢাকা/মামুন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ