বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু
Published: 3rd, February 2025 GMT
৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় ধাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকার একাংশসহ ২২ জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন।
এর আগে, গতকাল রবিবার আখেরি মোনাজাতে শেষ হয় ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ। মোনাজাত শেষে প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ মুসুল্লি ময়দান ত্যাগ করেন। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। বিকেল হতেই দ্বিতীয় ধাপের মুসুল্লিরা আসতে শুরু করেন। আজও সকাল হতে বিভিন্ন জেলা হতে মুসুল্লিরা দলবেঁধে ময়দানে আসছেন।
এই ধাপে অংশগ্রহণ করছেন- ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, মোহাম্মদপুর, মুন্সীগঞ্জ, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, জয়পুরহাট, সিলেট, সিরাজগঞ্জ, মেহেরপুর, টাঙ্গাইল, পাবনা, নরসিংদী, সাভার, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, ঝালকাঠি, বরগুনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, নওগাঁ, বান্দরবন জেলার মুসল্লিরা।
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ী নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘‘সোমবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই ধাপে ২২ জেলার মুসল্লি ছাড়াও ৭৬টি দেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার বিদেশি মেহমান এসেছেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাত শেষে তারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন।’’
উল্লেখ্য, ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৪০ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/রেজাউল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম পর ব র দ ব ত
এছাড়াও পড়ুন:
‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ স্লোগানটি কীভাবে এল
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে কয়েকটি স্লোগান আন্দোলনকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছিল, তার মধ্যে একটি ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও শীর্ষ ছাত্রনেতাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ স্লোগান ব্যবহার করেছেন।
জুলাইয়ে তরুণেরা নিজেরা যেমন স্লোগান তৈরি করেছেন, তেমনি ব্যবহার করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম থেকে জন্ম নেওয়া স্লোগানও। তার একটি ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।
এ স্লোগানের পটভূমি কিউবার স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কিউবার সংবাদমাধ্যম হাভানা টাইমসে প্রকাশিত একটি লেখা থেকে জানা যায়, স্লোগানটির জন্ম ১৮৬৮ সালে স্পেনের উপনিবেশ থেকে কিউবার স্বাধীনতার সংগ্রামের শুরুর দিকে। তখন স্লোগানটি ছিল ‘স্বাধীনতা অথবা মৃত্যু’।
এরপর কিউবার কাউতো নদী দিয়ে অনেক পানি গড়িয়েছে। ১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবে পতন ঘটে কিউবার মার্কিন মদদপুষ্ট বাতিস্তা সরকারের। যদিও শান্তি ফেরেনি। কিউবায় ঘটতে থাকে একের পর অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা। ১৯৬০ সালের মার্চে কিউবার রাজধানী হাভানার সমুদ্রবন্দরে একটি ফরাসি জাহাজে বোমা হামলা হয়। সে হামলায় মারা যান ১০০ জন।
ওই বছরের ৬ মার্চ নিহত ব্যক্তিদের শেষকৃত্যে সহযোদ্ধাদের লাশের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে ফিদেলের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা প্রতিবিপ্লব ঠেকাতে শপথ নেন ‘স্বদেশভূমি অথবা মৃত্যু’ স্লোগান দিয়ে।
ফিদেল কাস্ত্রো