দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল প্রায় ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল ৯টার দিকে পুনরায় চালু হয়েছে।

এর আগে, রোববার রাত ১২টার দিকে পদ্মা-যমুনায় ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে। তবে কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসায় সকাল ৯টার দিকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সমকালকে জানান, কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে নৌরুটে সব ধরনের নৌযান নিরাপদে চলাচল করছে।

কুয়াশার কারণে সাময়িক এই বিঘ্ন দক্ষিণবঙ্গের যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য কিছুটা ভোগান্তি সৃষ্টি করলেও বর্তমানে নৌপথ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ লতদ য় দ লতদ য় প ট র য় র দ লতদ য়

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে চোর ও ছিনতাইকারী সন্দেহে ৮ জনকে গণপিটুনি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাইকারী সন্দেহে রোববার আটজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ বলছে, ছিনতাইকারী সন্দেহে যাত্রাবাড়ী এলাকায় চারজনকে, চকবাজারে দু’জনকে, মতিঝিল ও ভাটারায় দু’জনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক জানান, দুপুর ১২টার দিকে কোনাপাড়ায় ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় তিন সহোদর রফিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও রিপন মিয়াকে ধোলাই দিয়ে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করে। প্রায় একই সময় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় ছিনতাইকারী সন্দেহে সোহাগ মিয়া নামে আরও একজনকে গণধোলাই দেওয়া হয়। চারজনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

চকবাজার থানার এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, বকশীবাজার এলাকায় কাগজের কার্টন চুরির অভিযোগে অপু ও আলী নামে দু’জনকে গণধোলাই দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে বিকালে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

মতিঝিল থানার এএসআই সাদ্দাম জানান, এজিবি কলোনি এলাকায় এক নারীর ব্যাগ নিয়ে পালানোর সময় গণধোলাইয়ের শিকার হয় তন্ময় নামে এক কিশোর।

ভাটারা থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, সোলমাইদ এলাকার একটি বাড়ির চারতলা থেকে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ চুরি করে পালাতে গিয়ে সকালে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে মানিক মিয়া নামে এক যুবক। পরে তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ