সান্তাহারে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, ৩ বন্ধু নিহত
Published: 3rd, February 2025 GMT
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ট্রাকের ধাক্কায় আল হোসাইন (১৯), নেওয়াজ (২০) ও মিথুন (১৯) নামে মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের সান্তাহার পৌর শহরের বাঁশহাটি মৎস্য আড়তের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ৩ জনই বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আল হোসাইন দুপচাঁচিয়ার কোনকাই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে, নেওয়াজ একই এলাকার মাস্টারপাড়ার জিয়ার ছেলে ও মিথুন মঞ্জুয়ারার ছেলে।
নিহত আল হোসাইনের জমজ ভাই আল হাসান বলেন, “রবিবার বিকালে তিনটি মোটরসাইকেলে ৯ বন্ধু মিলে নওগাঁ বাণিজ্য মেলা ঘুরতে যায়। মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সান্তাহার পৌর শহরের বাঁশহাটি অতিক্রম করার সময় ট্রাকের ধাক্কায় চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই আমার ভাই আল হোসাইনসহ একটি মটরসাইকেলে থাকা তিনজনের মৃত্যু হয়। আমরা সান্তাহার পোঁওতা রেলগেট থেকে ফিরে এসে দেখি সড়কে আমার ভাইসহ তিনজনের নিথর দেহ পড়ে আছে।”
এ বিষয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আজিমুল হক জানান, তারা এক মোটরসাইকেলে তিনজন আসার সময় একটি ঢাকা কোচ ওভারটেক করে সামনে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের দিক থেকে আসা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ৩ জন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ব্যায়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
মরদেহ উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
ঢাকা/সাজু/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল হ স উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরাঞ্চলে পেট্রলপাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, ভোগান্তিতে চালকেরা
দুটি পেট্রলপাম্পের সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রলপাম্পগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে এ ধর্মঘট চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন এলাকাগুলোর যানবাহনের চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, রাজশাহী বিভাগ। গতকাল সংগঠনটির রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান ও রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিলের সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বলা হয়, গতকাল বগুড়ার আদমদীঘি থানা এলাকায় দুটি ফিলিং স্টেশনে কোনো ঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া ছাড়াই হঠাৎ উচ্ছেদ অভিযান চালায় নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। এ অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রলপাম্পমালিক চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সব নিয়মকানুন মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নিয়মিত রাজস্ব দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে এলেও অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
সংগঠনটির রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিল বলেন, আদমদীঘিতে ‘হামিম ফিলিং স্টেশন’ ও ‘আনিকা ফিলিং স্টেশনের’ সামনে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নর্দমা খনন করেছে। এতে পাম্পের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়নি। আনিকা ফিলিং স্টেশনটি তাঁর মালিকানাধীন।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকেই বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা। অনেকেই ছুটছেন খোলা পেট্রলের খোঁজে। রাজশাহী নগরের কাজলা এলাকায় নয়ন পেট্রোলিয়াম এজেন্সি থেকে তেল না পেয়ে ফিরে যান আবদুল জব্বার। উপহাস করে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সেই নওগাঁয় কোথায় কি না হয়েছে, এর জন্য সারা উত্তরবঙ্গে পাম্প বন্ধ রেখেছে। তাঁদের মধ্যে বেশ ঐক্য আছে বলা যায়।’
ওই ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার মো. মুকিদ বলেন, রাতের দিকে তাঁরা নোটিশ পেয়েছেন। অনেকে খবর পেয়ে রাতেই পেট্রলপাম্পে ভিড় করেন। কিন্তু সকালে অনেকেই ফিরে গেছেন। তাঁদের কিছুই করার নেই। এ সিদ্ধান্ত মেনে সবাই ধর্মঘট পালন করছেন। যখন ধর্মঘট তোলা হবে, তখনই বিক্রি শুরু হবে।
নগরের কুমারপাড়া গুল গফুর পেট্রোলিয়াম ফিলিং স্টেশনে মোটরসাইকেল ঠেলতে ঠেলতে আসেন তারিক নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, আধা কিলোমিটার আগে তেল শেষ হয়ে গেছে। গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে এসে দেখি পাম্প বন্ধ। এখন আবার গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে খোলা পেট্রল কোথায় বিক্রি হচ্ছে, তা খুঁজতে হবে।