বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ট্রাকের ধাক্কায় আল হোসাইন (১৯), নেওয়াজ (২০) ও মিথুন (১৯) নামে মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের সান্তাহার পৌর শহরের বাঁশহাটি মৎস্য আড়তের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত ৩ জনই বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আল হোসাইন দুপচাঁচিয়ার কোনকাই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে, নেওয়াজ একই এলাকার মাস্টারপাড়ার জিয়ার ছেলে ও মিথুন মঞ্জুয়ারার ছেলে।

নিহত আল হোসাইনের জমজ ভাই আল হাসান বলেন, “রবিবার বিকালে তিনটি মোটরসাইকেলে ৯ বন্ধু মিলে নওগাঁ বাণিজ্য মেলা ঘুরতে যায়। মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সান্তাহার পৌর শহরের বাঁশহাটি অতিক্রম করার সময় ট্রাকের ধাক্কায় চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই আমার ভাই আল হোসাইনসহ একটি মটরসাইকেলে থাকা তিনজনের মৃত্যু হয়। আমরা সান্তাহার পোঁওতা রেলগেট থেকে ফিরে এসে দেখি সড়কে আমার ভাইসহ তিনজনের নিথর দেহ পড়ে আছে।” 

এ বিষয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আজিমুল হক জানান, তারা এক মোটরসাইকেলে তিনজন আসার সময় একটি ঢাকা কোচ ওভারটেক করে সামনে যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের দিক থেকে আসা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ৩ জন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ব্যায়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বলে পুলিশ জানিয়েছেন। 

মরদেহ উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। 

ঢাকা/সাজু/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল হ স উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারল না ১৩ শিক্ষার্থী

কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যা নিকেতন বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষার দিন সকালে তারা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সময়মতো রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের টাকা দিলেও বোর্ডে তাদের ফরম জমা দেওয়া হয়নি।

পরীক্ষার্থী মাসুমা আক্তারের অভিভাবক নুরুল আলম বলেন, “সব টাকা দিয়েছি, মেয়েটা সারাদিন কান্নাকাটি করেছে। স্কুলে গেলে দেখি তালাবদ্ধ, কেউ নেই।”

উপজেলা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার বদরুল আলম বলেন, “১৩ জন শিক্ষার্থীর কারোই বোর্ডে ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আমরা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, তাদের ফরম পূরণই হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভুক্তভোগী অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/তারেকুর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ