দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ সোমবার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকার বায়ু। সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ২৪৩। বায়ুর এই মানকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়।

বিশ্বের ১২৩টি দেশের মধ্যে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াংগুন, স্কোর ২২৬, অর্থাৎ সেখানকার বায়ুও খুব অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

একিউআই স্কোরে তৃতীয় স্থানে আছে বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো, স্কোর ১৮৯। ১৮২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর, স্কোর ১৭৭। 

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.

৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

বিশেষজ্ঞ পরামর্শ

বায়ুদূষণের আজ রাজধানীর যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে- ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। এছাড়াও ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বইমেলায় বাংলা ভাষার প্রথম এআই রচিত উপন্যাস ‘যুবক যেখানে যেমন’

বাংলা ভাষায় প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা উপন্যাস রচিত হয়েছে। ‘যুবক যেখানে যেমন’ নামের এই বইটি গ্রন্থনা করেছেন ড. মাহফুজ শামীম, যিনি এই সাহিত্যপ্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

উপন্যাসটি আধুনিক সমাজ, মনস্তত্ত্ব ও বাস্তবতার মিশেলে এক নতুন সাহিত্যিক অভিজ্ঞতা তৈরি করবে বলে আশা করছেন বইটির গ্রন্থনাকার।

বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ, নৈঋতা ক্যাফে-এর ৬১০ নম্বর স্টলে। এছাড়াও, অনলাইনে বইটি রকমারিতে প্রি-অর্ডার করা যাচ্ছে।

প্রকাশনা সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আশা করছেন, ‘যুবক যেখানে যেমন’ পাঠকদের জন্য একটি নতুন ও ব্যতিক্রমী পাঠ-অভিজ্ঞতা এনে দেবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ