কানাডার ক্যালগরিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন
Published: 3rd, February 2025 GMT
কানাডার ক্যালগেরির স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সেন্টারে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম সংগঠন ‘আমরা সবাই’ এর উদ্যোগে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে পূজা উদযাপন হয়।
অগণিত ভক্ত বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠার্থী দেবী সরস্বতীর চরণে এ সময় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানান তারা।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সেন্টারের পূজামণ্ডপে সরস্বতী পূজার পূজা শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয় দুপুর দেড়টায় এবং প্রসাদ বিতরণ করা হয় দুপুর ২টায়।
দুপুর থেকেই পূজামন্ডপে ছোট ছোট কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকে। এছাড়াও পূজামন্ডপে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্ট কম্পিটিশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পূজার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় প্রবাসী সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করেন। বিদ্যার দেবী সরস্বতী সারাবিশ্বে শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল কানাডায় অবস্থানরত সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা সবাই’ সংগঠনের সভাপতি রুপক দত্ত, সাধারণ সম্পাদক অয়ন সরকার, সহ সভাপতি জয়ন্ত বসু, শুভ মজুমদারসহ অন্যরা।।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যে প্রলোভনে মিয়ানমারে দুই বছর জেল খাটলেন ২০ কিশোর–তরুণ
কারও বয়স ১৬, কারও ১৮ ছুঁই ছুঁই। দালালের প্রলোভনে পড়ে মালয়েশিয়ায় ভালো বেতনে চাকরি আর উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরা। পরিবারকে না জানিয়েই রওনা দিয়েছিলেন অবৈধ বিপদসংকুল সাগরপথে। কিন্তু মিয়ানমারে পৌঁছেই আটক হন তাঁরা। তারপর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ২২ মাস কারাভোগ করেন।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০২৩ সালের জুনে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক এসব কিশোর–তরুণ আজ মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাসে তাঁদের নেওয়া হয় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে। সেখানে অপেক্ষারত পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হয় এসব কিশোর–তরুণকে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে বাস থেকে একে একে নামেন তরুণেরা। ছেলে কিংবা ভাইকে এত মাস পর কাছে পেয়ে দৌড়ে যান স্বজনেরা। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, অসাধু দালালেরা এসব কিশোর–তরুণকে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করেছিল। পথে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তাঁরা আটক হন। তাঁদের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সরকার। এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস তাঁদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফিরে আসা কিশোর–তরুণেরা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা। মালয়েশিয়া যাত্রার কথা কেউ পরিবারকে জানাননি। প্রায় এক মাস পর স্বজনেরা জানতে পারেন তাঁরা আটক হয়েছেন। এক বছর আগে সরকারের কাছে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে কাগজপত্র জমা দেয় পরিবার।
ফিরে আসা এক কিশোরের বোনের স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, ‘পরিবারকে না জানিয়েই আমার শ্যালক দালালের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যেতে চেয়েছিল। সে মিয়ানমারে আটক হয়। প্রায় এক মাস পর আমরা জানতে পারি। এখন সে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছে।’
কিশোর–তরুণদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য যাচাই করে তাঁদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমরা তাঁদের পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেছি।’
এর আগে গত রোববার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের এমআইটিটি বন্দর থেকে ২০ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস সমুদ্র অভিযানে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করেন। আজ সকালে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।