হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ সোমবার। প্রতি বছর মাঘের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে হয় বাগদেবীর এই আরাধনা। আজকের পঞ্চমী তিথিতে অগণিত ভক্ত বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠার্থী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্ম প্রণতি জানাবেন তারা।
এ উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা আজ বাণী অর্চনাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। সারাদেশের মন্দির, মণ্ডপ ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার ও সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশিত হবে।
এদিকে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, এ বছরের পঞ্চমী তিথি গতকাল রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়ায় রামকৃষ্ণ মিশন মঠসহ কোথাও কোথাও সরস্বতী পূজা গতকালই উদযাপিত হয়েছে।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনের কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপ ছাড়াও হল মাঠে বিভিন্ন বিভাগের আয়োজনে পূজামণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। বেগম রোকেয়া, শামসুন নাহার, কুয়েত মৈত্রী, ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ বিভিন্ন হলেও আলাদাভাবে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া রাজধানীর রামসীতা মন্দির প্রাঙ্গণে বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আলাদা বিবৃতিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তিন সভাপতি অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সেমিনার
৮ম জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে 'খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ থাকুক জনগণ' এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুরাইয়া সাইদুন নাহারের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি অধিদপ্তরের অফিস প্রধান, ক্যাব প্রতিনিধি এবং রেস্টুরেন্ট ও বেকারি দোকান মালিকরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে দেশের জনগণ সকলেই যদি সচেতন না হয় কোন আইন করেও ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ভেজাল রোধে একাধিকবার জরিমানা গ্রেফতার করলেও তার কোন সুরাহা হয়নি, তার কারণ হচ্ছে সবার মধ্যে সচেতন হওয়াটা জরুরী। তাহলেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হবে বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সাল থেকে নিরাপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং জেলা পর্যায়ে ২০২০ সাল থেকে যাত্রা শুরু হয়।
বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপদে জনমান নির্ধারণ করা, নিরাপদ এবং মান নিশ্চিত করা, নিরাপদ খাদ্য স্থাপনা পরিদর্শন, মনিটরিং গাইড করা, মোবাইল কোড পরিচালনা করা, ও নিরাপদ খাদ্য বিক্রয় বন্ধ ও আই নানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ প্রধান ও বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর।