লিবিয়ায় উদ্ধার লাশ বাংলাদেশি কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি: রাষ্ট্রদূত
Published: 3rd, February 2025 GMT
লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার লিবিয়া থেকে ইতালিতে লোক পাঠানোর পেছনে থাকা মাফিয়া দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। গত কয়েক দিনে যে লাশগুলো উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি আছেন কিনা, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
রোববার দূতাবাসের ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে একটি নৌকা ৫৬ যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়। সম্ভবত ২৫ তারিখ রাতেই নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরবর্তী সময়ে ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উপকূলে লাশ ভেসে আসতে থাকে। ২৮ তারিখে ৭, ২৯ তারিখ ১১, ৩০ তারিখে ৩, ৩১ তারিখ ৩– সর্বমোট ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো পূর্বাঞ্চলে আজদাদিয়া শহরে সমাহিত করা হয়েছে। লাশগুলো পচে যাওয়ায় সংরক্ষণ করার উপায় ছিল না।
তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার ও দাফনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তারা হলো রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের জানিয়েছে, লাশগুলোর অবয়ব দেখে তাদের মনে হয়েছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক। লাশগুলোর সঙ্গে কোনো নথি ছিল না। ফলে লাশগুলোকে বাংলাদেশি হিসেবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ৫৬ জনের মধ্যে ২৩ জনকে উদ্ধার শেষে দাফন করা হয়েছে। আর দু’জনকে সেনাবাহিনী বা পুলিশের কোনো একটি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি নিখোঁজদের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। আমরা ব্রেগা এলাকায় যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছি, তবে এখনও অনুমতি পাইনি। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার যে অদম্য স্পৃহা, এটাকে কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেড় বছরে ৪ হাজার ২০০ লোককে ডিটেনশন সেন্টার থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিজেদের দোষে নারীরা কুপ্রস্তাব পান: মমতা শঙ্কর
পশ্চিমবঙ্গের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর। সাম্প্রতিক সময়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে স্যোশাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। নারী দিবসের আগে দেওেয়া অভিনেত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। এর আগে নায়িকাদের শাড়ি পরার ধরন নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনা মুখ পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া প্রকাশ্যে চুম্বন নিয়ে মন্তব্য করেও পড়েছিলেন বিতর্কে। এবার নতুন এক বিতর্কে নাম জুড়ালেন মমতা।
কুপ্রস্তাব পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদেরকেই দায়ী করে দেওয়া মমতার বক্তব্যে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। নারী দিবসের আগে তার এমন বক্তব্য নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনুরাগীরাও।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি মমতা দাবি করেন যে নারীরা কুপ্রস্তাব পাওয়ার জন্য নিজেরাই দায়ী। অভিনেত্রীর মতে, নারীরা যদি নিজেদের ব্যক্তিত্ব দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করতে পারেন, তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। মমতা শঙ্কর বলেন, ‘আত্মসম্মান, আত্ম মর্যাদা নিজেকে ধরে রাখতে হবে। অনেকে আমায় অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখার পর এসে বলেছেন উনি তোমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, খারাপ লোক কিন্তু উনি, সাংঘাতিক। সাবধানে থেকো। আমি পাল্টা জবাবে বলেছি যে আমার তো তাঁকে ভালোই, সজ্জন বলে মনে হল।
রাত জেগে, গভীর রাত পর্যন্ত কত শ্যুটিং করেছি, কত মানুষের সঙ্গে বসে আড্ডা দিয়েছি। গান গেয়েছি। কেউ কখনও খারাপ প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবতে পারেননি।’
এদিকে অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী সামাজিক মাধ্যমে একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেন। তিনি নাম উল্লেখ না করেই লেখেন, উনি শঙ্কর প্রজাতির শিল্পী, সঙ্গে জুড়ে দেন একটি ভাবুক ইমোজি। নেটিজেনদের বুঝতে দেরি হয়নি যে অভিনেতা কাকে ইঙ্গিত করেছেন। অনেক ভক্ত-অনুরাগীকেই তার মন্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা গেছে।