কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষের স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা বাজারের মেইন গলিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৫ জনের আহতের খবর পাওয়া যায়। এদের মধ্যে গুরুতর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

আহতরা হলেন, টাঙ্গালিয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে ইয়াকুব আলী (৩২) কাচারি পাড়া গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে হারুন অর রসিদ (১৮) ও কাচারি পাড়া গ্রামের মৃত শাহার আলীর ছেলে শরিফুদ্দিন (৪০), সাংবাদিক সুজন মাহমুদ (২৪) ও একজনের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা যায়, জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতে অধ্যাপক মোখলেছুর রহমানের নাম না থাকায় আরেক পক্ষের সমর্থকদের ফেসবুকে তিরস্কার করেছেন। সেই ফেসবুক পোস্ট দেখে সামনা সামনি কথা-কাটাকাটির জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। জেলা বিএনপি কমিটির লোকজনের সঙ্গে আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছি। বিএনপির বৃহৎ রাজনৈতিক দল, নানাবিধ লোকজন রয়েছে। দলের মধ্যে কেউ কেউ আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। যদি কেউ আমার নাম নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করে থাকে আমি উপজেলায় ফিরে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রুস্তম মাহমুদ বলেন, আমি রৌমারীতে অবস্থান করছি। আমার কোনো সমর্থকদের মধ্যে বিভেদ নেই। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে রাজনীতি করি। তুচ্ছ ঘটনা থেকে জুনিয়রদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার মো.

হাসিব জানান, সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ইয়াকুব আলী গুরুতর আহত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসা জন্য  ময়মনসিংহ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাজিবপুর থানার ওসি মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ ব এনপ স ঘর ষ র ঘটন ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্যানেল মেয়র ডন আবারও গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাবেক ১নং প্যানেল মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আসিফ হোসেন ডনকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশ।

রোববার দুপুরে নগরীর পাটগুদাম এলাকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসিফ হোসেন ডন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রেদোয়ান আহমেদ সাগরকে হত্যা ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর মামলার আসামি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। পরে তার অবস্থান জানতে পেরে গত ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ডনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর আদালত তাকে জামিন দিলে তিনি আবারও পালিয়ে যান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ডনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটগুদাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোনায় মাকে ছেলের মারধর, শাসন করতে গিয়ে মামা খুন
  • লিফলেট বিতরণ করায় আ.লীগ নেতাকে বেঁধে পুলিশে সোপর্দ
  • ‘জেরিনের বড় ভাই দায়ী’ পোস্ট দিয়ে বাঙলা কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
  • আরও ৯০ থানা-উপজেলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি কমিটি
  • ময়মনসিংহ মেডিকেলে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের হাতাহাতি
  • শিবির-ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিয়ে করতে চাপ দেওয়ায় খুন
  • মসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ডন গ্রেপ্তার
  • পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্যানেল মেয়র ডন আবারও গ্রেপ্তার